শান্তির পরশ পাথর -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক অজনা দহনে মোর হৃদয়মাজার জ্বলেপুড়ে ছারকার ভর করেছে এক অসীম শূন্যতা উপায় কী বাঁচবার? বাড়ছে এই দহন দিন যত যায় নিস্তার নাহি মেলে অস্থির, চির অস্থিরতার কোলে পড়তেছি সদা ঢলে। হা-হুতাশ ভরে জ্বলছি প্রতিক্ষণে উত্তপ্ত নিশিদিন সন্তর্পণ তবু মেলে না কোথাও আশার প্রদিপ ক্ষীণ। আাকস্মাৎ জলে চক্ষু নামতেই ধুয়ে নিই হাত-মুখ মাথার মাসেহ পরে, পা দুখান ধুয়ে অজুতেই মেলে সুখ। অজুর পরে হঠাৎ মনে মনে ভাবি নামাজটা পড়ে দেখি খোদার ইবাদাত ছেড়েছি সে কবেই এ ‘অকর্মার ঢেঁকি’। মসল্লায় দাঁড়িয়ে বাঁধতেই দুহাত শরীর শিউরে উঠে কোথাকার এক শীতল পরশে তনুভরা হিম রটে। হাঁটুতে দুহাত ঠেকিয়ে রুকুতে ঝুঁকি ফাতেহা কেরাত পড়ে মাথার উপরে আচমকা ঝড়ে সব শূন্যতা গেলো উড়ে। সজিদায় গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে যখন বলি ‘খোদা সুবহান’ দুখ-যাতনা হৃদ-আর্তনাদ যত জ্বলেপুড়ে সব ম্লান। বিশ্বাস করো ভাই, সত্য বাণী হায় নিস্তব্ধ-নিরালায় কবু করে দেখ্ তোর প্রভুরে সিজদা অনুরাগী কলিজায় খোদার কসম তবে পাবি না এ ভবে শান্তি অমন খোঁজে কেটে যাবে তোর জগতের অমানিশা বলছি দুচোখ বুজে। দিকভ্রান্ত, ওরে অশান্ত সকল নামাজে চল না বসি! তোর অশান্তি পালাবে দূর-বহ...