সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
 চেনা লোকালয়; অচেনা রূপ —সৈয়দুল হক বিকেল চারটা। বাস থেকে নেমে চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। প্রায় দুমাস পর শহরের সাথে দেখা। দুমাস আগে কদিনের জন্য বাড়ি গিয়ে আঁটকা পড়েছি। লকডাউন শুরু হওয়ায় ফেরা হয়নি। গ্রামের এক কোণে পড়ে থাকতে থাকতে দম বন্ধ প্রায়। লকডাউন শিথিল হওয়ায় শহরে ছোটে আসা। সীমিত আকারে যানবাহন চলছে। বাসে উঠতে-নামতে মানা হচ্ছে বাড়টি সতর্কতা। আগেকার মতো ঝুলোনি আর দুলুনি খাবার সুযোগ নেই। দু-সিটে একজন বসছে। তাতে পঞ্চাশ টাকার ভাড়া উঠেছে আশি টাকায়। অবশ্য যাত্রীও অত নেই। না-হলে কি বাসে উঠে ঘণ্টাখানেক বসে থাকতে হয়... লোকজন নেই রাস্তাঘাটেও। এই যে, মুরাদপুরের মোড়। এখানটায় গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে ধম ফেলা কঠিন ছিল। লোকের হৈচৈ আর গাড়ির হর্নের অত্যাচারে বেশিক্ষণ থাকা-ই চ্যালেঞ্জিং। অথচ এখন কত শুনশান। রাস্তা কিংবা রেস্তোরাঁ—সবটাই ফাঁকা পড়ে আছে। কয়েকটা রিকসা আর হাতে গোনা কয়েকজন লোক ছাড়া আছে বলতে দৈত্যাকার বিল্ডিংগুলো আর ফ্লাইওভার নামের অঘোষিত স্থলসেতুটা। ফুট ওভার ব্রিজটায় ভিক্ষুকের ঠাসাঠাসি ছিল। দেখা যাচ্ছে না তেমন একটা। ভিক্ষা নেবেই বা কার কাছ থেকে৷ শহর যে জনশূন্য প্রায়। ফ্লাইওভারের নিচে লোহার...