সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কৃপাসিন্ধু-৫

কৃপাসিন্ধু-৫ হিলফুল ফুজুল এগিয়ে চলছে। দলের সদস্যরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের সমস্যাদি সমাধানের পাশাপাশি বনদস্যু দমন চলছে সমানতালে। যুবক মুহাম্মদের বিচিত্রতা বাড়তে থাকে দিনদিন। একজায়গায় খোঁজে পাওয়া যায় না বেশিক্ষণ। লোকালয়ে মন বসে না। এই বসে আছে, গল্প করছে, পরমুহূর্তেই অদৃশ্য। ছোটে চলে বিজনভূমে। পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে, নীরবে ধ্যানমগ্ন হয়, বিচরণ করে ভাবের রাজ্যে। প্রকৃতির অলিগলিতে ঘোরাঘুরি। চাঁদ-তারাদের সাথে আলাপ জমায়। গাছগাছড়ার সাথে সখ্যতা বাড়ে। বন্ধুত্ব জমে বনের পশুপাখির সাথে। গল্প জমে অজানা-অচেনা উদ্ভিদের সাথে। একান্ত সঙ্গী পাহাড়-পর্বত। গুহা তার কেন্দ্রবিন্দু। বাবা-মা নেই। নেই দাদা-দাদিও। আপন বলতে চাচা আবু তালিব। তার সাথে বানিজ্যে যায় মাঝে-মাঝে। এ-ছাড়া প্রায় একাকীই কাটে। মাঝে-মাঝে লোকালয়ে যায়। মিশে লোকেদের সাথে। কিন্তু ধারণ করে না কাউকে। ছড়িয়ে আসে নিজ আদর্শ—শান্তির বাণী, সম্প্রীতির মন্ত্র। হিলফুল ফুজুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাঁর দিকে দৃষ্টি ঘুরে কর্তাদের। অন্যায়ের ভীতে লাত্থি মেরে ন্যায় মশাল গেঁড়ে দিয়েছেন ইতোমধ্যে। সময়ে অসময়ে কাজে-বেকাজে পরামর্শ চায় অনেকে। মিছেদের রাজ্...

কৃপাসিন্ধু-৪

জিলকদ মাস চলছে। মক্কার কাছাকাছি উকাজ। সেখানে মেলা বসেছে। কর্তারা নাম দিয়েছে উকাজ-মেলা। মেলা নয়, যেন পাপের আসর। কী হয় না এখানে? মদ, জুয়া, ব্যভিচার, নোংরামি, গালাগালি নাচানাচি, হৈচৈ সব। বেচাকেনা, ঘোড়দৌড়, মল্লযুদ্ধের প্রতিযোগিতাও আছে। কিন্তু পুরো মেলার কেন্দ্রে ঐ সাহিত্যের আসর। মেলার মূল আকর্ষণ। কেন্দ্রবিমুখ। আরবের খ্যাতিমান কবি-লেখকরা উপস্থিত। উপস্থিত সম্ভ্রান্ত গোত্র-প্রধানরা। গল্প, কবিতা, আবৃত্তির ও বক্তব্যের বান ছুটছে। যে যার মতো করে প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছে। ‘এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ’ অবস্থা। এলো ‘সাবয়া মোয়াল্লাক’ কবিদের কবিতা পাঠের পালা। সাবয়া মোয়াল্লাক মানে ‘ঝুলন্ত সাত’। ইতোপূর্বে উকাজ-মেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়া সাত কবিতা। সেগুলো আবার কাবার দেয়ালে ঝোলানো। সোনালি অক্ষরে বাঁধাই করা। তাই এগুলোর মর্যাদা সর্বোচ্চ। কেবল এসব পাঠের জন্য আলাদা ইভেন্ট। সে ইভেন্ট শুরু। টগবগে এক যুবক। তার কণ্ঠে বজ্রের ধ্বনি। শুরু করলো কবি-সম্রাট ইমরা-উল-কায়েসের কবিতা। কবিতাটি কবির ঘোড়ার বিরত্বে রচিত— ঊষাকালে যব পাখিরা সবে আপনালয়ে রয় ঘুমে, তখনি মম ক্ষিপ্র-শিকারি পশমি-অশ্ব যায় ভূমে। সম্মুখে যেই, পেছনেও সেই, ডা...