রিপোস্ট.........
★‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ নাকি ‘ভালোবাসা দিবস?★
__মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
★১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে দেখছি উৎসুক জনতার উস-খুসের শেষ নেই। শেষ নেই প্ল্যানের। নিত্য নতুন প্ল্যান এসে বাসা বাঁধছে কপোত-কপোতি, বালক-বালিকা, যুবক-যুবতিদের মাথায়, মনে, জাগরণে, শিহরনে! এসব প্ল্যান কি পশ্চিমা উলঙ্গ দেশ থেকে উড়ে আসে নাকি পার্শ্ববর্তি ভাড়ত থেকে? নাকি আযাজিলের দুষ্টু চক্র থেকে? তা ঠিক আমার জানা নেই।
যাক গে ওসব কথা। সেগুলো বলতে গেলে আমার কপালে আবার বেহায়া, লা-শরম, বেয়াদব টাইপের উপাধি জুটে যেতে পারে! এমনিতেই লম্বা কোর্তা আর মাথার টুপিটার কারণে একটু এদিক ওদিক হলেই শুরু হয়ে যায়- মৌলভি এএএএএই, মৌলভি সেএএএই! সে সময়কার মুখের বেঙছিটার দিখে তাকালে পৃথিবীর সবচে বিশ্রি সিনারিটা দেখার স্বাদ চিরজীবনের জন্য মিটে যাবে যে কারো!
এবার আসি মুল কথায়-
বলতে চেয়েছিলাম আমরা মুসলমানের ছেলে-মেয়ে, নর-নারী, আবাল-বৃদ্ধরা মিলে ফেব্রুয়ারির চতুর্দশ দিবসে যে বিশেষ দিবসটা পালণ করে থাকি, ওটা কি আদৌ ভালোবাসা দিবস নাকি ভ্যালেন্টাইন্স ডে???
হুট করে বলে বসতে পারেন- এটা আবার কেমন প্রশ্ন? দুটায় তো এক! সাথে সেই পুরোনো উপমাটাও লাগিয়ে দিতে পারেন- ঝুলিয়ে রাখা যে কথা, টাঙ্গিয়ে রাখাও সেইম কথা।
কিন্তু মশাই আমি যদি আপনাকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ট্রান্সলেট করতে বলি, আপনি কিয়ামত তক চেষ্টা করেও এটাকে ভালোবাসা দিবসে অনুবাদ করতে পারবেন না। একই ভাবে ভালোবাসা দিবসকে ইংরেজি করতে বললেও আপনিও সর্বোচ্চ love day পর্যন্ত করতে পারবেন, কিন্তু কস্মিনকালেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে করতে পারবেন না। তাহলে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র পরিবর্তে ভালোবাসা দিবস কোত্থেকে আসলো?
অথচ এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ইতিহাস অত্যান্ত নোংরা, যা কম-বেশ সকলেরই জানা।
উত্তর একটাই- এটি ইহুদি+খ্রিষ্টান সহোদরের চক্রান্ত। তাদের একটাই লক্ষ্য- তাদের নোংরা অপসংস্কৃতি, বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা মুসলিম বিশ্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায়-উপশিরায় ঢুকিয়ে দেয়া। যার ফলস্রুতিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে থেকে ‘লাভ ডে’ লাভ ডে থেকে পুরুত করে বাংলা ভাষায় ‘ভালোবাসা দিবস’ বলে চালিয়ে দিয়েছে। আর অমনিতেই বোকা ভাঙালী তিড়িং করে একলাফে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলায় উঠে গেল। কেউ কেউ চলে গেলো ঝোপঝাড়ের আড়ালে, আবার কেউ অতিমাত্রার প্রেম বিলাতে জনসম্মুখে!! ছি ছি ছি!!! লজ্জা হওয়া উচিৎ এ জাতির!
কারো কারো পজিটিভ শক্তি এত বেশি যে, তারা বলে- ‘‘আজকের এই দিনটির ভালোবাসা হোক মা-বাবার ও পরিবারের জন্য’’ খোদাকি কসম! আপনি ১৪তারিখে এরকম অসংখ্য স্ট্যাটাস পাবেন। তার নির্দিষ্ট সংখ্যা নিরুপন পাঁচ হাজার ফ্রেন্ডের উপরে জরিপ চালিয়ে করা সম্ভব না! তবে তার সংখ্যা আনুমানিক হাজার থেকে লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে! সেদিন একজনের কথাতে আপত্তি করায় তিনি আমাকে বলেই বসলেন- খারাপকে কি ভালোতে পরিণত করা যায় না?
আরে মিয়া আপনার গাছ রুপনেই যদি অশুদ্ধ হয়, তবে গাছের যাবতীয় পরিচর্যা তো বিফল! গাছটাকে আপনি যত রঙ্গেই রাঙ্গাতে চান না কেন, ফলাফল ওই ‘জিরো’ই আসবে! ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ইতিহাসটাই তো মুলে নোংরামিতে ভরপুর! আপনি এটাকে যতই পজিটিভে আনতে চান না কেন, ঘুরে ফিরে যেই লাউ, সেই কদু! ভ্যালেন্টাইন্স এর অনুস্বরণ!
তা ছাড়া মা-বাবার ভালোবাসার জন্য আপনি কোন আক্কলে দিন নির্দিষ্ট করছেন? আর যদি এই নোংরা ইতিহাসে ভরপুর দিনটাকেই মা-বাবা কিংবা অন্য কারো ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট করেন, তবে বছরে বাকি ৩৬৪দিন তাইলে কি ওনাদের ঘৃণা দিবস?? নতুবা ভালোবাসার জন্য একটা দিবসকে কেন নির্দিষ্ট করতে যাবেন? আক্কেল গাছটা গঙ্গায় বিসর্জন দিলেন নাকি?
পরিশেষে বলতে চাই-
আপনি যদি মুসলিম হন, বুকে যদি রাসূল প্রেমের ছিটেফোটাও থাকে, তবে আপন আপন স্থান থেকে নোংরা ইতিহাস ব্যাঞ্জক ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র বিক্রিত রূপ ‘ভালোবাসা দিবস’কে না বলুন। গণসচেতনতার লক্ষ্যে পোস্ট’টি অবিকৃত ভাবে যত পারুন কপি/শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন