সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গর্বিত-লজ্জিত

মহান বিজয় দিবসের উপহার!

পড়ে দেখুন, তৃপ্তি শতভাগ নিশ্চিত...!

★★★গর্বিত মোরা লজ্জিত★★★

             ♥মুহাম্মদ সৈয়দুল হক♥

_______________১_______________

মোরা পেয়েছি স্বাধীনতাকে, মোরা গর্বিত 

মোরা লভেছি বিজয়কে, মোরা গর্বিত।


মোদের প্রিয় গীত ‘আমার সোনার বাংলা’

   ‘চল্ চল্ চল্’ মোদের জয়ী কাফেলা


মোরা বুক চিড়ে রক্ত দিতে করি না’কো ভয়

 মোদের বিজয় চির অভয়-অক্ষয়, চির বিস্ময়!


মোরা করি না’কো পরোয়া, হোক না নেতা সরোয়া

বেপরোয়া চরম লা-পরোয়া, স্বাধীনতাটাই মোদের চাওয়া।


অজস্র মহিয়সির সহস্র নারিত্ব নষ্ট করেয়েছে, 

                                           পঁচন ধরিয়েছে।

তবু, যায় নি কো দলে, বিষের ঐ ছোবলে

     কভূ, লুকায়ে রহিনি কো অন্যায়ের আড়ালে।


বের হয়েছি রাজপথে, অস্ত্রহাতে দামান ছেলে

     গেলে যাক, ধড়-প্রণ-শির যাক না চলে!


ঝরেছে অনেক ঝর ঝর ঝর রক্তমালা

      তবু ভেঙ্গেছি, উপড়ে ফেলেছি বন্ধিশালা।


এসেছে বিজয় ঐ লাল-সবুজ রঙ্গে-রঙ্গিন হয়ে

  গর্বিত মোরা, উল্লাসিত মহান ‘বিজয়’ পেয়ে।

_______________২_______________

লজ্জিত মোরা চরম লজ্জিত পরমভাবে

লজ্জিত এ কারণে, সত্যিই কি বিজিত কোনোভাবে?


নগরের ঐ রেল লাইন কিংবা অচেনা বস্তি

শহরের ঐ চেনা লোকালয়, আজো পেয়েছে কি সস্তি?


খাদ্যাভাবে আজো মরছে মানুষ বঙ্গস্থানে

দেখে এসো ঐ যে কাপন-শীতের বস্ত্রহীনে


খর্ব করেছে গর্বে ভরা ঐ মুক্তিযোদ্ধার বুক

বিজিত দেশের বিজয়ী ঐ আত্মা কি পেয়েছে সুখ?


অধিকার! 

চিনিয়ে নিয়েছিল কত বঙ্গরূপি রাজাকার

রয়েছে আজো অনেক, যায় নি সে হাহাকার


দেশ দরদির বেশে তারা নিত্য নিচ্ছে চিনিয়ে

‘বিজয়’। ও বিজয় তারা খাচ্ছে দেখো চিবিয়ে!


বিজয় দিবস?

পালিত হচ্ছে দেখো নগ্ন নারীর নৃত্যে নৃত্যে

শহিদের মর্যাদা পদধলিত বেহায়াপনার ভৃত্যে!


বাহ্, ও কি চমৎকার! 

দেখো দেখো ঐ ঝিকি-মিকি করছে শহীদ মিনার

কিন্তু আস্তপৃষ্টে যাচ্ছে তলে দেশ-প্রেমিকের জুতার!


প্রতিদান! 

এক গুচ্ছ ফুল আর শ্রদ্ধাঞ্জলী

ফেইসবুক প্রোপাইল গুলির জাষ্ট জলাঞ্জলী।


কিন্তু ঐ যে শহিদ পরিবার অনাহারে রয়

তার খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের খবর কেবা লয়?


কেবা আর ‘বিজয়’ শব্দের মর্যাদাটুকু দেয় 

এ দেশ আর আমরা, কতটা বিজয়ী সহজেই পরিমেয়।


গর্বিত মোরা বিজয়ী, লজ্জিত মোরা বিজয়ী

এ লজ্জাময় গর্ব খর্ব হোক বাঙ্গালির চিরস্থায়ী।


তারিখঃ১৬/১২/১২

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হযরতের স্কুল-১

হজরতের স্কুল-১ –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক “হাসরের দিন আমি সর্বপ্রথম বলিব– ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” শিরক শিরক বলে মাইজভাণ্ডারের প্রতি আঙ্গুল তোলা ব্যক্তিরা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারির এ বাণীটি অন্তরে গেঁতে রাখুন। অঘোষিত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হজরত আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারি। সে ভার্সিটির পহেলা সবক ছিল “কবুতরের মত বাছিয়া খাও, হারাম খাইও না। নিজ সন্তানসন্ততি লইয়া আল্লাহর জিকির কর।”  গ্রামবাংলার আমজনতা সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় বুঝত না৷ স্কুল বুঝত৷ তাই রমেশ স্কুল বলেছেন। এভাবে– “সেই স্কুলের এমনি ধারা, বিচার নাইরে জোয়ান বুড়া সিনায় সিনায় লেখাপড়া শিক্ষা দিতাছে মাস্টার ও মাহিনা ছাড়া, এলমে লাদুনি ভরা কাগজ কলম দোয়াত কালির কী দরকার আছে? গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি স্কুল খুইলাছে...” রমেশ শীল হিন্দু ছিলেন। মাইজভাণ্ডারি গান লিখেছে প্রায় ৩৫০। ‘আমি তোমায় ভালোবাসি, তুমি আমাকে দেখা দাও’ টাইপের না। মানে গানগুলো কেবল গান না। এলমে শরিয়ত ও তরিকতের গভীর থেকে গভীরতর রহস্য। সেখানে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত কোনটি নেই? যেমনটি লিখেছেন– “নামাজ রোজা কলমা আর, হজ ও জাকাত সার এই পাঁচ কাজে দাসগণে মশগুল রাখিও দয়াল ভাণ্ডারি ...

মসলকে আলা হযরত

বিষয়ঃ মসলকে আলা হযরতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা। —মুহাম্মদ সৈয়দুল হক শিক্ষার্থী: জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা। ফলপ্রার্থী: ফাযিল প্রথম বর্ষ ★প্রারম্ভিকাঃ  “তমসা ঘেরা এ দুনিয়ার মানুষ দেখিলো সেদিন পথ দীনের আকাশে উদিল যেদিন ‘মসলকে আলা হযরত’ বতুলতায় ভরা এ উপমহাদেশ পেয়েছে সেদিন দিশা রবিসম সে মসলক-গুণে কেটে গেছে অমানিশা।” যাবতীয় প্রশংসা সেঁ মহীয়ান সত্ত্বা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ নবির শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে কবুলের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ইমাম আলা হযরত (রহ.)’র মসলকে কবুল করেছেন। অগুনতি দরুদ ও সালামের নজরানা সেঁ দুজাহানের বাদশা নবি মুহাম্মদ (দ.) এর পাক কদমে, যাঁর অশেষ করুণায় তাঁরই নির্ধারিত যুগের মহান দিকপাল ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (রা.)’র মসলকের শামীয়ানায় আমরা আশ্রিত। ইসলামের সকল যুগের সকল সূর্যসন্তানদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালামপূর্বক স্মরণ করছি যাঁর পথ-মত তথা ’মসলক’ নিয়ে লিখতে বসেছি, যুগের সে মহান সংস্কারক, আঁধারে আলোকরশ্মি, দোজকের তাপদাহে জান্নাতি পবন, অথৈ সমুদ্রে জাহাজের কাণ্ডারিতুল্য ইমাম আহমদ রেযা খাঁঁন ব্রেলভী (রা.) কে, যিনি এ পৃথিবীতে না এলে ইসলাম-সূর্য এদ্দিনে হয়ত তাঁর...

সত্যের আলোকবর্তিকা

সত্যের আলোকবর্তিকা      (শুভ জন্মদিন) যুবক হন্য হয়ে ছোটে। কখনও নগরের পথে কখনও বা বনবাদাড়ে। ছুটতে ছুটতে পা ফুলে যায়। রক্ত ঝড়ে। হুট করে বসে। জিরোই। আবার ছোটে। কখনও উথাল-পাতাল লাফায় তো কখনও ধীরস্থির শান্তভাবে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয় হযরতের রওজার কিংবা শূন্য আকাশে। বদ্ধঘরে একাকী দিন কাটে। নাওয়াখাওয়া নাই। হঠাৎ ঘর ছেড়ে কোথায় যে হারিয়ে যায়—খোঁজে পাওয়া মুশকিল। পৌষ-মাঘের শীতেও দিনের-পর-দিন পানিতে ডুবে থাকে। গ্রীষ্মের উত্তপ্ত সূর্যের দিকে চেয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারে যেন খোঁজে? কী যেন চায়? আমার আমি কই? কিংবা আমি কে? কোথা থেকে এলাম? ভেতরে কে আছে? তাঁকে জানা চাই, সাক্ষাৎ প্রয়োজন, চেনা লাগবেই। শরীরের রক্ত ছোটে, চামড়া ছেঁড়ে, জরাজীর্ণ হয়—পণ আর ছোটে না৷ হযরতের রওজায় সামা চলতো। ‘সামা’তে হালকা হয়। কোন এক অদৃষ্টের শক্তিতে শরীর দোলে উঠে। কাঁপন ধরে। কখনোসখনো সে কাঁপন লাফে গিয়ে ঠেকে। সামা শেষে যুবক আসলেন। শুরু হলো মারামারি৷ ‘যাকে পাই তাকে খাই’ নিয়মে চলছে মারধর। “নামাজ কালাম নাই? এত লাফালাফি কীসের? আবার সাজদা মারা হচ্ছে?” ভক্তকুল লে-ছোট। দৌঁড়ে কূল পায় না। ‘পড়ি কী মরি’ করে বাবাকে জানায়। বাবা...