চলেন, সবুজদিঘী যাই
কল্য যাহা হইতে চলিয়াছে, তাহা নিয়া আপনার পরানের উদ্বেগ কি পরিমাণ? শুনিতেছি কল্য নাকি চাটগাঁও নগরীর অলি-গলি লোকে-লোকারণ্য হইবে। বাস, টেরাক, ট্রেনগুলান লোকেদের গিলিয়া লইয়া লালদিঘীর কিনারায় উগরাইয়া দিবে। যুবকদল নাকি গলা ফাটাইয়া মিছিলে মিছিলে লালদিঘীর মাঠখানাকে লালে লাল করিয়া করিয়া ছাড়িবে। আরো শুনিতেছি এইবার নাকি ইসলামী ফ্রন্ট নামক দলটি ভারি চাঙা হইয়াছে। তাহারা নাকি মোমবাতির আলো দিয়া সংসদ উজ্বালা করিয়াই ছাড়িবে। তাহাদের হাঁকডাক দেখিয়া মনে হইতেছে তাহারা এইবার দৃঢ় সংকল্প লইয়া মাঠে নামিয়াছে। মনে হয় কামিয়াব হইবার আগতক তাহাদের কেউ দমাইয়া রাখিতে পারিবে না।
এইরূপ ভাবসাব দেখিয়া আমার অন্তরের মধ্যিখানে বেসম্ভব নৃত্য করিতেছে। কি হইতেছে, কি হইবে- এই ভাবিয়া ভাবিয়া মনস্থির করিলাম কল্য অবশ্যই সবুজদিঘী যাইতে হইবে। লালকে সবুজ বলিবার বিশেষ কারণ হইলো লাল সংকেত গাড়ির গতি বন্ধ করিয়া দেয়, প্রক্ষান্তরে সবুজ বাতিতে বন্ধ গাড়ি চলিবার গতি ফিরিয়া পায়। যেহেতু লালদিঘীতে সবুজ সংকেত দেখিতে পাইতেছি, সেহেতু আপাতত ইহার নাম সবুজদিঘী রাখিলাম। এইরূপ লিখিবার আরো একখানা বিশেষ কারণ হইতেছে সবুজ আমার প্রিয় বর্ণ। মদিনার বাদশাকে সর্বদা ছায়াদাতা গম্বুজটা সবুজ। তামাম দুনিয়ায় অক্সিজেন ছাড়িয়া যে সব উদ্ভিতসমূহ আমাদের বাঁচাইয়া রাখিতে সাহায্য করে, সে সব উদ্ভিদগুলানও সবুজ। শুধু ইহাতে সীমাবদ্ধ নহে, আমার প্রাণের সাথে জড়িত, সোনার বাংলার নিশানের বৃহদাংশ সবুজে আবৃত।
অতএব, আগামীকল্যর জন্য ইহাকে আমি সবুজদিঘী বলিয়া নাম রাখিলাম। আশা করা যাইতেছে যে, এইখান হইতে সবুজ সংকেত লইয়া সবুজ নিশান উড়াইতে উড়াইতে সংসদে সবুজ গুম্বিদ ওয়ালার সবুজ আইন কায়েম করা যাইবে।
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন