পড়ুন, হাকিকত বুঝার চেষ্টা করুন-
♥ভাণ্ডার আমার প্রেমের বাড়ি
সিরিকোট আমার ঘর♥
_মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ভাণ্ডার আমার প্রেমের বাড়ি
সিরিকোট আমার ঘর
প্রশ্ন কেনো- কে মোর আপন,
কে বা আমার পর?
কিসের এতো বাড়াবাড়ি;
দ্বন্দ্ব আর কিসের
দুপ্রান্থে দুই মহানায়ক
অলি হক পথের।
মাইজভাণ্ডারের নুরের বাড়ি
ঝলক মদিনার
সিরিকোটের আলোক রশ্মি-
রাসূলে খোদার।
আহমদ রেযার জীবন দর্শন (রহ.
আহমদ উল্লাহ জানে হবে)
তাইতো শেরে বাংলা আমার
উভয় জনকে মানে।
বাড়াবাড়ি করা সহজ
হাকিকত বুঝা দায়
নানান মতের অমিল দেখে
হাসেন বিধি সাঁই।
চার ঈমামের চার ফতুয়া (মাযহাব
মান্য কিনা বলো? উদ্দেশ্য)
তবে কেন রেযা-ভাণ্ডার
দ্বন্দ্ব নিয়ে চলো?
ভক্তিতে ভাই মুক্তি মিলে
বলেন গুণীজনে
গুরুভক্তি করো সাধন
সদা সঙ্গোপনে।
‘দ্বন্দ্ব’ ভাঙলে ‘দবনদব’
এক হলে ‘দ্বন্দ্ব’
দেখতে দুটো ভিন্ন লাগে
মুলে এক ছন্দ।
সৈয়দ বলে দ্বন্দ্বে তো নয়
প্রেমে সমাধান
প্রেমের চোখে দেখলে তবে
দুটোই হয় সমান।
ফরদাবাদির হক ফতোয়া
বুঝে কয়জনে?
শরীয়তের অতুল বাণী
রেযার জবানে।
কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক
মাপতে যেয়ো না
নামলে পরে ঐ সাগরের
কুল যে পাবে না।
মহাসাগর- ‘মাইজভাণ্ডারি’
‘রেযা’- প্রেমসিন্ধু
প্রসান্ত আর আটলান্টিক
মিলে দুই বন্ধু।
হাকিকতের গোপন মশাল
জ্বালতে ঐ দিলে
দ্বন্দ্ব-সংঘাত ত্যাগ করো
শান্তি কামিলে!
শুনো আমার এই ফরিয়াদ
ওহে সুন্নীগণ
দ্বন্দ্ব ভুলে বুকে এসো
করি আলিঙ্গন।
(বিঃ দ্রঃ গত কিছুদিন যাবত আলা হযরত, মাইজভণ্ডার আর সিরিকোট নিয়ে ফেইসবুকে সুন্নীদের মধ্যেই বিশাল মত পার্থক্যের বাড়াবাড়ি দেখে ব্যথিত হৃদয়ে দু’কলম লেখার প্রয়াস পেলাম। আশা করছি- কোথাও ভুল পেলে শোধরে দিবেন। সত্য বললে মেনে নিবেন। মতপার্থক্যের বাড়াবাড়ি চাই না, প্রেমালিঙ্গনে সিক্ত হতে চাই।
সবার প্রতি অনুরোধ- আপনারদের পরিচিতদের মধ্যে যারা এসব দ্বন্দ্বে নিজেদের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন, তাদেরকে এই পোস্টে মেনশন করুন।)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন