‘বসন্তের(রবিউল নুর) আগমনী বার্তা’ আমি কী দেব না?
_মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
বসন্তের আগমনী বার্তা কভু অবলোকন করেছেন? দৃষ্টি কী একটু খানি গভীরে প্রবেশ করিয়েছেন? চারপাশে ঘটে যাওয়া দৃশ্য গুলোতে কোন গভীর মাহাত্ত্ব খুঁজে পেয়েছেন? আমি কিন্তু পেয়েছি। চোখ মেলে দেখেছি। শুনুন, তবে বলছি...... বসন্তি হিল্লোলে আপন হিয়ার কল্লোলে কোকিলরা যেমনি ভাবে গা ভাসিয়ে দেয়, যেমনি ভাবে বসন্তি রূপে রূপান্তরিত হয় গাছ-গাছালি, পাক-পাকালি, ইত্যাদি ইত্যাদি। চারিদিকে আগমনী গান যেমনি করে শোনা যায়, ঠিক তেমনি নদীর দ্বারে, ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কালসাপেরা। সুযোগ বুঝে আক্রমন করে বসে বসন্তি হিল্লোলে হিল্লোলিত হয়ে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতিটিকে। শিমুর খ্যাত ঐ নিষ্টুর শিখারি বন্দুক তাক করে থাকে অথিতি পাখিদের দিকে। ফুলেদের থেকে মধুপান শুধু যে মৌমাছিরা করে তা কিন্তু না, নাম না জানা বিষাক্ত পোকাদেরও উড়ে বেড়াতে দেখা যায় গোলাপ-গাদা কিংবা চামেলীদের উপর। তাই ‘মাহে রবিউন নুর’ শরীফের আগমনের প্রাককালে মাদানী কবুতরদের লহরির পাশাপাশি ফোরাতের অকুলের বাসিন্দাদের চেঁচামেচিতে আমি মোটেও বিচলিত নয়। কেননা এটাই যে ধরার রীতি, প্রকৃতির খেল। অতএব একটু সাবধানে, সজাগ দৃষ্টি রেখে, মাদানী নিশান হাতে নিয়ে চলুন সকলে একসুরে গেয়ে উঠি-
‘‘তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে
মধু পূর্ণিমারি সেতা চাঁদ দোলে
যেন ঊষার কোলে রাঙা রবি দোলে
তোরা দেখে যা...............................’’
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন