→কৃষানি
_মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
~~~~~~~~~~~~~
এই ওঠো তনুর বাবা
ওঠো তাড়াতাড়ি
বেলা দেখো মাথার উপর
ওঠো তাড়াতাড়ি
ওঠো, ওঠো, ওঠো
বিলের দিখে ছোটো......
এত বেলা ঘুমালে হয়,
বিলে যাবে কবে?
উঠে দেখো এতক্ষনে
চলে গেছে সবে।
দেখো দেখো দেখো
ঐ যে দূরের সাঁকো......
রিনির বাবা ঝিনির বাবা
ময়নার বাবাও নেই
তুমিই খালি পড়ে আছো
জন্মের আলসেই।
নেই নেই নেই
তোমার মত আলসে নেই....
‘‘উঠছি বাবা উঠছি
শুধুই চেঁচামেচি
আজ অত কাম নেই
তাইতো ঘুমোচ্ছি’’।
ঘুমাও ঘুমাও আরো ঘুমাও
ঢের কিছু কি পারো
অনেক কষ্টে তুলছি তোমায়
ফের ঘুমিয়ে পড়ো।
ঘুমাও ঘুমাও ঘুমাও
ইচ্ছে মতো ঘুমাও..........
‘‘হাত-মুখ তো ধোয়াই হলো
চা কি এবার দেবে
তাড়াতাড়ি করো একটু
দেরি হয়ে যাবে’’।
এই নাও, চা খাও
সাথে পিঠাপুলি
সারাদিন তো বিলেই খাটো
সুবাহ্ ছে গোধুলি।
খাও খাও খাও
পেট পুরিয়ে নাও.......
পুটলিটা বাঁধায় আছে
নিয়ে যেও সাথে
দুপুর বেলা তনু যাবে
খাবার নিয়ে মাঠে।
যাও যাও যাও
আসতে- এনো লাউ.......
সকাল গিয়ে দুপুর হলো
ডাকে তনুর মা-
এইরে তনু কোথায় গেলি
যারে বিলে যা।
যা যা যা
ভাত নিয়ে বিলে যা.......
এ’কাজ সে’কাজ ঢেঁকির উপর
গেল কৃষানির দিন
সন্ধ্যা বেলা অপেক্ষাতে
রিনঝিন রিনঝিন।
ওই ওই ওই
তনুর বাবা আসছে ওই.......
ঘামে ভেজা কৃষক চাচা
কাঁদে নাঙ্গল-জোঁয়াল
ঘামে ভেজা ধুলি বালির
টিস্যু- ‘শাড়ির আঁচল’
মুছে মুছে মুছে
দিচ্ছে শাড়ির আঁচে.......
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন