★মরুবর হযরত★
(দ্বিতীয় ভাগ)
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মালায়েক-হুর এলো, এলো হাওয়া-আছিয়া
পড়ে সব একি রব দরুদের তাজিয়া।
সাল্লাল-লাহু সাল্লাম ফুঁকারে-
মাতিলো ধরাকুল কি মধুর আহারে।
কী জমিন-আসমান, কী সুরুয আর চাঁন
লহরীর সুরে সুরে গেয়ে যায় ‘গেলমান’
একি ফুল ফুটিলো, ওকি চাঁদ উঠিলো!
জুলুমের দুনিয়ায় একি ‘নুর’ আসিলো!
কে সে জন, ওরে মন, প্রশ্নঃ জাগে হায়
সম্মানে যাঁর ত্বরে খোদ কাবা ঝুঁকে যায়।
আমেনা’র বর্ণনা- জাতিকুল শুনলে না
দেখেছিলো তিন খানা, আগমনী নিশানা
পতপত উড়ছিলো ‘কাবা’রই ছাদেপর
বাঁকি দুই পশ্চিম-পূর্বের সীমাপর।
‘আহ্লাদে আটখানা’ সৃজনের সকলে
তাই দেখে থাপড়ায় শয়তান কপালে।
হায় হায় উঠে রব আযাযিল কন্ঠে
যত সব ইন্দন সবি গেলো লুন্ঠে!
কেঁদে কেঁদে হয়রান, পাপী ওই শয়তান
আজো কাঁদে দেখো ওই শয়তানি সন্তান!
যুগে যুগে রবে তাই শয়তানি কানাদল
নবীজির আগমনে ফেলবে লোনাজল।
কেঁদে যাক শয়তান, করে যাক নদী-বান
রাসূলের প্রেমিরা গেয়ে যাবো জয়গান
জোরছে বলো সব, হয়ে যাক উজ্বালা
‘‘নারায়ে রেসালাত, ইয়া রাসূলাল্লাহ্’'।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন