তুমি অদ্বিতীয়, তুমি আ’লা হযরত
আ’লা হযরত!
তোমার স্পর্শে জেগে উঠেছিলো
হাজারো ঘুমন্ত তারা
তোমার ছোঁয়ায় কেঁপে উঠেছিলো
সহস্র বাতিল-আকড়া
তোমারি গুণে গুণিত অগুনতি
গুণিরা আজ লড়ছে
ঐ নামের ঝঙ্কারে-বীরের হুঙ্কারে
শত বাতিল ভেঙ্গে পড়ছে
কারো দরসে-কোরাসে-জলসে নয়
সরসের তুমি হাঁড়ি
তোমার দরসের দয়াল মুদাররিস
ঐ মদিনায় যার বাড়ি
ঐ ইলম, ঐ হিলম, ঐ মারিফাতের রত্ন
অঙুলি ছেদ করে শত আঁধার ভেদ করে
বেরিয়েছে সঠিক লগ্ন
তোমার ফতোয়া, তোমার তাকওয়া
লিখে যাওয়া সেই গীত
হৃদয়-কাঁপন তুলে, ঝড়ের বেগে দোলে
নড়ে উঠে বাতিল-ভিত
তুমি দেনেছো ইমান-খজিনা তুল্য
ঐ যে ‘কানজুল ইমান’
তোমার ‘রজভী ফতোয়া’ নিখুঁত-নির্ভুল
‘মক্কি দৌলত’ মহাশান!
আ’লা হযরত!
হে নবী-বাগানের ওগো রক্তগোলাব!
মুহাম্মদ-প্রেমের বলিষ্ঠ সয়লাব!
শত বাতিলের একক জবাব!
তুমি বিস্ময়!
তুমি বিস্ময়!
সৃজনে তুমি চির বিস্ময়!
বিশ্ব-বিধাতার চির বিস্ময় তুমি, চির অবিনাশি
হে অতুল্য তোমার তুল্য সৃজন হবে নাকো কোন ঋষি
আরব-আজম ভারত-বাংলা আটলান্টিক পেরিয়ে
তোমার জয়গান চির অম্লান, তুমি অদ্বিতীয় আসনে দাঁড়িয়ে।
তোমার দ্বিতীয়-তৃতীয় নেই।
তুমি চির একক মানব-সত্ত্বা
তোমায় হিন্দুস্থান-পাকিস্তান আরব-অনারবের প্রতি পাঠিয়েছেন ঐ বিধাতা।
তুমি প্রশান্ত। তোমার জ্ঞানের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-গভীরতা
মাপার সাধ্য নেই, বুঝার মুরোদ নেই, দেখার চক্ষু নেই।
অক্ষম, অক্ষম, অক্ষম যত জ্ঞাননেতা।
তুমি মহাকাশের অনাবিষ্কৃত তারকা, তুমি অনন্য এক জগৎ!
তোমায় পড়া যায়, গবেষণা করা যায়, জানা যায় না হাকিকত!
তুমি আ’লা হযরত!
তুমি আ’লা হযরত!
অধম কৃষ্ণাঙ্গ, তুমি ধবধবে সাদা
তোমার ভেতর-বাহির সমানে রাঙা
তোমার নামের ভাগ কে কারে দেয়
কে লুটে নেয়
ওরা বেবুঝ-বেভুল, বকে আবুল-তাবুল
ওহে রাসুলবাগের ফুল বটবৃক্ষ-বটমুল
তুমি অতুল, তুমি অতুল, তুমি অতুল।
৯জুন-১৮
সোমবার, মধ্যরাত।
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন