<<=ইফতার=>>
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
আসমানে রাশি-রাশি মালাক এর ঝাঁক
থেমে থেমে ভেসে আসে তাসবিহের হাঁক
হঠাৎ চমকে উঠে, দাঁড়ায় থমকে সবে
প্রভূ দিলো ডাক
বেজায় খোশ-মেজাজে, বলে স্বগরবে
দেখ ওরে পাক-
অভুক্ত মানুষেরা, দিয়ে ঐ ডাকে সারা
ক্ষুধাপেটে জ্বলে
কবে যে বেলা হবে, পশ্চিমাকাশে কবে
সূর্য যাবে ঢলে
নিষেধ করেছিলে যেই, এই তারা সেই
বসে সবে রয়
বাসন-কোসনে সব, ভরা আহার-সফ
তবু করে ভয়
চায়লেই খেতে পারে, রয় তবু অনাহারে
জানো কেনো তা?
ফেরেশতারা সব, ঐ আদবে নিরব
করে আমতা আমতা
করে উঠে গৌরব, আসমানের সৌরভ
জালালিয়ত হাল
বলে উঠে প্রভূজ্বি, আজ তাঁর দয়ারি
ছিড়ে সব পাল
‘আদেশ মানতে যারা, এভাবে পাগলপারা
জেনে রাখো সব
জাতের কসম তবে, চাবে যা তাই পাবে
দিয়ে দেবো সব।’
আহা ইফতার!
জগৎস্বামীর বাণী শোন রোযাদার-
দুখুশির প্রথমটা এই ইফতার
দ্বিতীয়তে দিবে রব তাঁর দিদার
বলো- চায় কী, চায় কী, চায় কী রে আর?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন