★আমার দেশের চাষি★
→মুহাম্মদ সৈয়দুল হক←
চক্ষু মেলে ধানের ক্ষেতে ভাবছি চমৎকার
আজব এ শিল্পকর্মের হয় কি পুরস্কার?
ধান রুপনে ঐ চাষিদের বিশেষ নিয়ম আছে
মাইকেল বাবুর পঙ্ক্তির মত সনেট কাব্য রচে।
ফসল মাঠের প্রতি সারির গোছা সংখ্যা সমান
লাইনের পরে লাইন সাজানো, সমান ব্যবধান।
করে তারা পদে পদে ঠাকুর দাদার অনুস্বরণ
ধানি জমির সবটা জুড়ে সহজ সারির সন্যিবেষন।
কবি গুরু ‘‘সোনার বাংলা’’ লিখেন গল্প রূপে
বাস্তব রূপে গড়ে চাষি আপন শ্রম সপে।
গভীর লেখার সম্রাট কাজি নজরুল ইসলাম
চাষি মনের গভীরতায় সেও করবে প্রণাম।
সুয্যি মামার প্রখর তাপেও দৃঢ় তাদের মনোবল
সংকল্প যে একটাই’ ফলা সোনার ফসল।
বাদল দিনে ছাতা বিনে করে মাঠে হালচাষ
তাদের মনে এত জোর, জোরটা যেন কৃতদাস।
সত্যেন্দ্রনাথ এক সময়ে ছিলেন ছন্দ জাদুকর
আমার দেশের চাষিরা ভাই মূলে উহার রূপকার।
ছন্দময় সে সু-সজ্জিত ধান গাছের ঐ সমাহার
নাথ সাহেবের ছন্দ থেকে বেশ তো দেখি চমৎকার।
পল্লী কবি রচে গেলেন পল্লী প্রেমের সু-সমা
নিত্য চাষি যাহা রচে তার কে দেবে উপমা।
রূপকারদের সারির মাঝে দেখি এদের হাজার বার
ভাবছিরে তাই কোন উপাধি চাষির পুরষ্কার!
নাইতো লিপ্সা উপাধির কাজেই তারা খুশি
সোনায় গড়া সোনার মানুষ আমার দেশের চাষি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন