★কাব্যপ্রেমির জন্মদিন★
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠
ইচ্ছে আমরা ভূবন জয়ে
উৎসাহটা দিচ্ছে কে?
আজকালকার কবি সৈয়দ
এত দূরে আনলো কে?
কার প্রেরণায় সামনে চলা
কথার ছলে কাব্য বলা
কার হাতে সেই বনস্পতি
ফুলে-ফলে সুফলা।
ছন্দরীতির নিয়ম বিনে
ছন্দহাঁরা কাব্য সব
ক্লাসফাঁঁকে পড়তো কে সে
কার মুখেতে উঠতো রব।
‘যাও লিখে যাও’ বলে কে সে
আলাপ হলে তৎক্ষণাৎ
দেখা হলে মুছকি হেসে
কে বলেরে জিন্দাবাদ।
নামটি যে তার অজানা নয়
মানুষ তবু চেনে না
পরিচিতির পর্ব লিখায়
তর যে আমার সয়ছে না।
‘আলম আজাদ’ নামের মানুষ
‘মানুষ’ বটে একজনা
যার পরশে মাটির পুতুল
হয়ে উঠে ঠিক সোনা।
‘বিদ্রোহী’র আবৃতিকালে
মনে হয় সেঁ বিদ্রোহী
‘হযরত’ এর পঠন কালে
ঠিক যেন এক আবেগী।
ক্লাসের ফাঁকে পড়তো আমার
নরম হাতের কবিতা
চোখ ভিজে যায় উঠলে ভেসে
এখনো সে ছবিটা।
উদ্দীপনা-উৎসাহ সব
সেই সময়ে না পেলে
হয়তো আমার মেধার ঝুড়ি
থাকতো পড়ে বিফলে।
প্রেমের মানুষ, দিলের মানুষ
সোনার মানুষ এক খানা
থাকুক বেঁচে অনন্তকাল
আলম আজাদ নাম খানা।
প্রিয় স্যার নুরুল আলম আজাদ। নির্মল হৃদয়ের মানুষটির জন্মদিন আজ। আজকের আমি’র আমি হয়ে উঠার পেছনে এ মানুষটির অবদান অনেক। কিশোর সৈয়দের কাব্যপ্রীতিতে মানুষটির ভূমিকা ঠিক আঁধার রাতে চাঁদের মতই। জন্মদিনে তাই তাঁর স্মরণে কাব্য কাব্যে ক’লাইন না লিখে থাকা হলো না। শুভ জন্মদিন স্যার!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন