স্বপ্নচারী দূরাকাশের অচেনা এক প্রাণী তার সজাতিকে বলছিলো কথাগুলো। আমি কিভাবে যেন শুনে ফেললাম। আপনারাও কি শুনবেন? তবে পড়ে আসুন.............
স্বপ্নচারীর আশা
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
যাবো চলো বঙ্গদেশে
পড়ে আবো তা
সালাম বরকত রফিক জব্বার
দিয়ে গেলো যা।
কারণে কি; অকারণে
মরণেরে হায়
বরে নিলো নিদ্রা গেলো
পরপারে যায়
ফাগুন ভরা ঢাকারো পথ
আগুন রাঙা ক্যান্
কোন ভাবাবেগ খুনের এ বেগ
কোন প্রেমের এ ধ্যান
শক্ত বচন- ‘রক্ত দেবো’
রপ্ত করলো ঐ
জান দেবো তো স্বর দেবো না
ফুটলো মুখে খই
সে কি কারণ প্রেমাবরণ
প্রেমোৎস কি তাই?
রক্তে কেনা ক খ ধ্বনী
নিলো যেথা ঠাঁই।
মুখের ভাষা মনের ভাষা
প্রাণের ভাষা এক
ভাষার তরে হলো যাঁরা
ঘন-কুয়াশা মেঘ
দেখে আবো তাঁদের বাড়ি
বঙ্গদেশের রীত্
করে গেলো অগোচরে
কত শত কৃত্?
‘মা’য়ের তরে দেশের তরে
ভাষার তরে প্রাণ
কে দিয়েছে, কোনকালে সে;
কার আছে সে দান
দানলো যাঁরা আনলো ঘরে
মা মা স্বরের গান
ধরবোরে চল্ তাঁদের সুরে
বাংলা মায়ের তান
হয়ে বিভোর সে সুরে সুর
তুলবো আজি শে’র
‘মোদের গরব মোদের আশা
বাংলা ভাষা’ ফের।
[আসে না, বহুদিন ধরে সে আসে না। আমায় সে যে বাসে না, ভালোবাসে না। আসলে কবিতার কথা বলছিলাম😃। তবু একপ্রকার জোর করে লেখা। মায়ের জন্য, মায়ের ভাষা জন্য। স্বপ্নচারীর বন্ধুর জবাব আসতে পারে শিগ্রই........]
২১ফেব্রুয়ারি-১৮ ঈসায়ী,
রাতের কিয়দংশ+ভোরবেলা।
ঢাকার পথে যেতে যেতে.....
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন