সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কালাইয়্যা

দুনিয়ার সকল হিংসুক ধলাইয়্যাদের উৎসর্গ-

      ★কালাইয়্যা★

__মুহাম্মদ সৈয়দুল হক

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

কালো বলে টিটকারি দেয়-

        ‘ওরে কালাইয়্যা’

শুনতে আমার মজায় লাগে

        হাসি ফাটাইয়্যা।


     কৃষ্ণবর্ণের কৃষ্ণচর্মে- 

    দ্বেষ লাগে মোর বেশ

যেথায় দেখি ভেঙছি কাটি

       মনে লাগে ফ্রেশ।


বেবাক লোকের সেবাক হাসি

      দাঁতের ফোঁকর দিয়ে

‘কালাইয়্যা’তে রসের হাঁড়ি

         পড়ে বেয়ে বেয়ে।


   মানুষ হবে- রঙিন রঙের

               রক্তবর্ণ গা

মানুষ হবে সালমান-শাহরুখ

        মানুষ- ‘সাদাইয়্যা।’


  ‘কালাইয়্যা’রা কুশ্রি অতি

        দেখতে লাগে ঘিন

   ব্রহ্ম থেকে ‘কালাইয়্যা’রা

        হোকনারে বিলীন।


   বলি তবে, ও ধলাইয়্যা!

        একটু সময় হবে?

  হলে সময় তোমার শানে

        বলি দুয়েক তবে।


   চলো একটু হজ্বে যাবো

       ‘খানায়ে কাবা’য়

  খোদার ঘরে নিরব স্বরে

      পড়িবো সিজদায়।


       কৃষ্ণবর্ণে মাথা নত 

        করতে কিবা চাও?

ঐ কালো ঘরের কালো পর্দা

         রঙিন করে দাও।


   একি! তুমি করছো টা কি

           কিসে চুমু খাও

   কুচকুচে ঐ কালো পাথর

       কেমনে ঠোঁটে নাও?


পড়বে কুরান, খোদার বিধান

          মিষ্টি মধুর সুরে

 অক্ষর দেখে পইড়ো নাকো

          ছিটকে বহু দূরে।


  চক্ষু তোমার আরো সুশ্রি

          করতে যদি চাও

সাদার মাঝের কালো মানিক

        জলদি তুলে নাও।


 গোঁফ দাড়ি আর চুলের বর্ণ

         রঙিন হওয়া চাই

 কালো পোশাক পরিধানের

       হক যে তোমার নাই।


খোদার সাথে যুদ্ধে যাওয়ার

          তৈরি রণতরী?

খোদার সৃজনে প্রশ্ন তোলা

          ওরে অহংকারি!


দ্বেষের ত্রাসে জ্বলে তোমার

       হৃদয়- ‘কয়লাখনি’

    সে খবর কি আছে ওরে

          দুষ্টু শিরোমণি।


      সে হৃদয়ে প্রেমের বর্ণ

         লাগাও ওহে ভ্রাতা

   দ্বেষ বাগানে প্রেম ফুটিলে

         ধন্য জীবন পাতা।


   কালা-ধলার বিষাক্রুশের

            দৃষ্টি নত হলে

        সুন্দর-সুশ্রি- সুধন

       আসবে মানব কুলে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হযরতের স্কুল-১

হজরতের স্কুল-১ –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক “হাসরের দিন আমি সর্বপ্রথম বলিব– ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” শিরক শিরক বলে মাইজভাণ্ডারের প্রতি আঙ্গুল তোলা ব্যক্তিরা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারির এ বাণীটি অন্তরে গেঁতে রাখুন। অঘোষিত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হজরত আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারি। সে ভার্সিটির পহেলা সবক ছিল “কবুতরের মত বাছিয়া খাও, হারাম খাইও না। নিজ সন্তানসন্ততি লইয়া আল্লাহর জিকির কর।”  গ্রামবাংলার আমজনতা সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় বুঝত না৷ স্কুল বুঝত৷ তাই রমেশ স্কুল বলেছেন। এভাবে– “সেই স্কুলের এমনি ধারা, বিচার নাইরে জোয়ান বুড়া সিনায় সিনায় লেখাপড়া শিক্ষা দিতাছে মাস্টার ও মাহিনা ছাড়া, এলমে লাদুনি ভরা কাগজ কলম দোয়াত কালির কী দরকার আছে? গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি স্কুল খুইলাছে...” রমেশ শীল হিন্দু ছিলেন। মাইজভাণ্ডারি গান লিখেছে প্রায় ৩৫০। ‘আমি তোমায় ভালোবাসি, তুমি আমাকে দেখা দাও’ টাইপের না। মানে গানগুলো কেবল গান না। এলমে শরিয়ত ও তরিকতের গভীর থেকে গভীরতর রহস্য। সেখানে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত কোনটি নেই? যেমনটি লিখেছেন– “নামাজ রোজা কলমা আর, হজ ও জাকাত সার এই পাঁচ কাজে দাসগণে মশগুল রাখিও দয়াল ভাণ্ডারি ...

মসলকে আলা হযরত

বিষয়ঃ মসলকে আলা হযরতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা। —মুহাম্মদ সৈয়দুল হক শিক্ষার্থী: জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা। ফলপ্রার্থী: ফাযিল প্রথম বর্ষ ★প্রারম্ভিকাঃ  “তমসা ঘেরা এ দুনিয়ার মানুষ দেখিলো সেদিন পথ দীনের আকাশে উদিল যেদিন ‘মসলকে আলা হযরত’ বতুলতায় ভরা এ উপমহাদেশ পেয়েছে সেদিন দিশা রবিসম সে মসলক-গুণে কেটে গেছে অমানিশা।” যাবতীয় প্রশংসা সেঁ মহীয়ান সত্ত্বা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ নবির শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে কবুলের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ইমাম আলা হযরত (রহ.)’র মসলকে কবুল করেছেন। অগুনতি দরুদ ও সালামের নজরানা সেঁ দুজাহানের বাদশা নবি মুহাম্মদ (দ.) এর পাক কদমে, যাঁর অশেষ করুণায় তাঁরই নির্ধারিত যুগের মহান দিকপাল ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (রা.)’র মসলকের শামীয়ানায় আমরা আশ্রিত। ইসলামের সকল যুগের সকল সূর্যসন্তানদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালামপূর্বক স্মরণ করছি যাঁর পথ-মত তথা ’মসলক’ নিয়ে লিখতে বসেছি, যুগের সে মহান সংস্কারক, আঁধারে আলোকরশ্মি, দোজকের তাপদাহে জান্নাতি পবন, অথৈ সমুদ্রে জাহাজের কাণ্ডারিতুল্য ইমাম আহমদ রেযা খাঁঁন ব্রেলভী (রা.) কে, যিনি এ পৃথিবীতে না এলে ইসলাম-সূর্য এদ্দিনে হয়ত তাঁর...

সত্যের আলোকবর্তিকা

সত্যের আলোকবর্তিকা      (শুভ জন্মদিন) যুবক হন্য হয়ে ছোটে। কখনও নগরের পথে কখনও বা বনবাদাড়ে। ছুটতে ছুটতে পা ফুলে যায়। রক্ত ঝড়ে। হুট করে বসে। জিরোই। আবার ছোটে। কখনও উথাল-পাতাল লাফায় তো কখনও ধীরস্থির শান্তভাবে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয় হযরতের রওজার কিংবা শূন্য আকাশে। বদ্ধঘরে একাকী দিন কাটে। নাওয়াখাওয়া নাই। হঠাৎ ঘর ছেড়ে কোথায় যে হারিয়ে যায়—খোঁজে পাওয়া মুশকিল। পৌষ-মাঘের শীতেও দিনের-পর-দিন পানিতে ডুবে থাকে। গ্রীষ্মের উত্তপ্ত সূর্যের দিকে চেয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারে যেন খোঁজে? কী যেন চায়? আমার আমি কই? কিংবা আমি কে? কোথা থেকে এলাম? ভেতরে কে আছে? তাঁকে জানা চাই, সাক্ষাৎ প্রয়োজন, চেনা লাগবেই। শরীরের রক্ত ছোটে, চামড়া ছেঁড়ে, জরাজীর্ণ হয়—পণ আর ছোটে না৷ হযরতের রওজায় সামা চলতো। ‘সামা’তে হালকা হয়। কোন এক অদৃষ্টের শক্তিতে শরীর দোলে উঠে। কাঁপন ধরে। কখনোসখনো সে কাঁপন লাফে গিয়ে ঠেকে। সামা শেষে যুবক আসলেন। শুরু হলো মারামারি৷ ‘যাকে পাই তাকে খাই’ নিয়মে চলছে মারধর। “নামাজ কালাম নাই? এত লাফালাফি কীসের? আবার সাজদা মারা হচ্ছে?” ভক্তকুল লে-ছোট। দৌঁড়ে কূল পায় না। ‘পড়ি কী মরি’ করে বাবাকে জানায়। বাবা...