গুরুজ্বি কবি আবদুল করিমের জন্মদিন। কবির চরণে কলাইন-
সুর বিশারদ-ছন্দরাজা
-মুহাম্মদ সৈয়দুল হক
অসুরবাদের ঘনকুয়াশায় পেলাম তাঁরে হায়
‘আবদুল করিম সুর বিশারদ’ নামটি দিলাম তাই।
না জানা সব অছান্দিকে যুক্তি মেরে চলে
ছন্দহীনা অছন্দকে ছন্দ বলে চালে
তাঁদের মাঝে নেইতো মুরোদ ছন্দ বাঁধিবার
অছন্দকে ছন্দ বলে চায় যে চালাবার
মেঘ-আড়ালে সূর্য হাসে সত্য বচন চিরো
ছন্দহীন এ রুক্ষমাঠে পেলাম যে এক হিরো
অনায়াসে ছন্দ ঝাড়ে কথার ফুলঝুড়িতে
ছন্দনামার বালাম খাতা সবি তাঁর ঝুলিতে।
কবু হয় সেঁ পল্লীকবি, আবার সেঁ বিদ্রোহী
দেশপ্রেমেতে জীবনানন্দ দেখলো যে এ মহী
জামেয়াতে রাজ চলে তাঁর, চবিসেনার রবি
দেখো ওগো দেখো তোমরা করিম কবির ছবি
ছবি তো নয় কিংবদন্তি, বন্দনা তাঁর সে’ই
নিজ মহিমায় বন্দনা তাঁর নয়তো পরিমেয়
কাব্যজগৎ লাভ করেছে বিশাল ধনের খনি
ছন্দ যে তাঁর তানবাঁধা সব, শব্দ মুক্তোমণি।
ওরে দ্যাখ-
ছন্দরা পেয়েছে
তাঁর কাছে ঠাঁই
শব্দরা বিধেছে
ছন্দেতে যায়
মুক্তোমালার মত
এক এক করে
শব্দকে গাঁতে সেঁ
ছন্দেরো ডোরে
কল্পকথার মত
কাব্যরা সব
হয়ে উঠে রঙ্গিন
করে কলরব
দেখে যা, লেখে তা
করে অনুভব
ছনমন তনুমনে
হরদম জপ
এঁ তো স্রেফ কবি নয়
গুরুজ্বি মোর
তাঁর তরে অন্তরে
বেঁধেছি ডোর।
ওগো কবি, ওগো গুণী! গুণমনি গুণাকর
ধন্য তব জনমদানি, ধন্য এই চরাচর..........
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন