সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুহররমের আগমনি গান

মুহররমের আগমনি গান 📝মুহাম্মদ সৈয়দুল হক দিগন্তে ঐ উঠেছে হেলাল নতুন বার্তা নিয়ে মুহররমের আগমনি গানে ধরাধাম গেলো ছেঁয়ে। এসেছে ধরায় নতুন বর্ষ বছরেক আরো গেলো পাখপাখালির কলরবে ঐ নবসুর ধরা পেলো। চারিদিকে ঐ নতুনের ডাকে আলোড়ন সীমাহীন গাছগাছালী ও তরুলতা সবে গেয়ে চলে নিশিদিন। সোনালী দিনের শুভ ইতিহাস উঠে উঠে আসে ফের বীরত্বে গাঁথা হিজরিপতি বীরবল ওমরের। আসে যবে এই মহিয়ান মাস স্মৃতিপট নড়ে উঠে পশ্চিমাকাশের আভা সমুদয় রক্তিম হয়ে ছোটে। কানে বাজে ফের পুরোনো কান্না পানি পানি পানি রব যে রবের প্রতি ছুড়েছিলো তীর জানোয়ার যতসব। খুনেভরা সেই লাল-কারবালা হুসেনের কাটা ছের প্রতি মুহরমে নব আয়োজনে আসে ফিরে আসে ফের। এজিদ-দলের নির্মম সেই অনাচারী আয়োজন পড়লে এ মনে থাকে কিরে হুঁশ বলো ওরে মহাজন! কাঁদে হিয়া মোর সেই শোকাতুর কারবালা-ফোরাতের ব্যথিত মননে খুন চাপে ধ্যানে প্রতিশোধ গ্রহণের এনে দাও খোদা, এজিদ-সিমার নরাধম দুজনায় রাঙিয়ে নিতাম এই দুটি হাত রক্তের গঙ্গায়। মুহররম! কারবালা! একসুরে বাঁধা দুই আনন্দ-বেদনার ভেলাতে চড়ে মুসলিম-ঘরে তুই। [সকলকে হিজরি নববর্ষ- ১৪৪০ এর শুভেচ্ছা]

মসলকে আলা হযরত

বিষয়ঃ মসলকে আলা হযরতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা। —মুহাম্মদ সৈয়দুল হক শিক্ষার্থী: জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা। ফলপ্রার্থী: ফাযিল প্রথম বর্ষ ★প্রারম্ভিকাঃ  “তমসা ঘেরা এ দুনিয়ার মানুষ দেখিলো সেদিন পথ দীনের আকাশে উদিল যেদিন ‘মসলকে আলা হযরত’ বতুলতায় ভরা এ উপমহাদেশ পেয়েছে সেদিন দিশা রবিসম সে মসলক-গুণে কেটে গেছে অমানিশা।” যাবতীয় প্রশংসা সেঁ মহীয়ান সত্ত্বা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ নবির শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে কবুলের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ইমাম আলা হযরত (রহ.)’র মসলকে কবুল করেছেন। অগুনতি দরুদ ও সালামের নজরানা সেঁ দুজাহানের বাদশা নবি মুহাম্মদ (দ.) এর পাক কদমে, যাঁর অশেষ করুণায় তাঁরই নির্ধারিত যুগের মহান দিকপাল ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (রা.)’র মসলকের শামীয়ানায় আমরা আশ্রিত। ইসলামের সকল যুগের সকল সূর্যসন্তানদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালামপূর্বক স্মরণ করছি যাঁর পথ-মত তথা ’মসলক’ নিয়ে লিখতে বসেছি, যুগের সে মহান সংস্কারক, আঁধারে আলোকরশ্মি, দোজকের তাপদাহে জান্নাতি পবন, অথৈ সমুদ্রে জাহাজের কাণ্ডারিতুল্য ইমাম আহমদ রেযা খাঁঁন ব্রেলভী (রা.) কে, যিনি এ পৃথিবীতে না এলে ইসলাম-সূর্য এদ্দিনে হয়ত তাঁর...

সুহাসিনী

সুহাসিনী সুদূর প্রান্থে ওহে কে গো তুমি সুহাসিনী ঝরনার কলকল শব্দের মতো কিংবা প্রভাতের হাসনাহেনার মত সুন্দর-সুশ্রী লাবণ্যতায় ভরা সর্গের হাসি হেসে যাও? হৃদয় মাজারে আন্দোলিত সে হাসির ব্যাখ্যা শোনাবে না? বলে কী যাবে না —কোন সমুদ্রের তলদেশে প্রবাহবান সে হাস্যধারা। মননচক্ষে দেখেছি বেশ, এবার কপালচক্ষে দেখার স্বাদ যে জেগেছে। শুনতে চাই, তুমি হেসে যাও, থেমো না হে সুহাসিনী। জনমের সব হাসি আজিকেই হেসে নাও। আমার ভেতর-বাহির পুলকিত হোক। সজীবতায় ভরে যাক এ দেহ-প্রাণ। আমি হারিয়ে যাই- অজানায়।

রাসুলপ্রেমে দাঁড়িয়ে যা

মন তুই রাসুলপ্রেমে দাঁড়িয়ে যা —মুহাম্মদ সৈয়দুল হক হযরত হাস্সান বিন সাবিত। সাহাবিয়ে রাসুল। এটুকুন না। পরিচিত আরো আছে। ঢের। কবি ছিলেন। শায়েরে রাসুল। আবৃত্তিশিল্পীও বটে। কবিতা রচনা করতেন। সাথে আবৃত্তি। মদিনার বাদশার সামনে। তাঁরই প্রশংসাগাথা। তাঁরই শান-মান। কবিতার ভাষায়। ভাবা যায়? রাসুলে অতুল মিম্বর বানিয়ে দিলেন। তাঁর হাস্সানের জন্য। মসজিদে নববি শরিফে। সেখানটাই দাঁড়িয়ে রাসুলের শান গায়বেন। সুবহানাল্লাহ! একদা তিনি দাঁড়ালেন। সেই মিস্বরে। যেটি রাসুলে দোজাহাঁ স্থাপন করেছেন। রাসুলুল্লাহর গুণগান শুরু হল। আহা! সৃষ্টির সেরার গুণগান। অদ্বিতীয় স্রষ্টার অদ্বিতীয় সৃষ্টি ‘নুরে মুহাস্মদি’র গুণগান। তিনি গেয়ে চলেছেন। রাসুলুল্লাহ শোনে চলেছেন। সে কত প্রেম, কত গভীরের পঙক্তিমালা। কে বা রচে আর কে বা শোনে? দর্শনেদ্রিয় বন্ধ করে একটু ভাবুন। প্রেমশূন্য হৃদয়েও ঝড় বয়ে যাবে। মরু দুলাল খুশি হলেন। তৃপ্ত হলেন। তুষ্ট নয়, সন্তুষ্ট। হাস্সান বিন সাবিতের উপর। দুআ করতে লাগলেন, ‘আল্লাহুম্মা আই ইয়াদাহু বিরুহিল কুদুস।’ ‘হে আল্লাহ! তুমি হাস্সানকে সাহায্য কর। রুহে কুদুস-জিবরাইলের মাধ্যমে।’ দুআ করে ক্ষান্ত না। ঘোষণা দিলেন। নিশ্চিত ভ...

জ্যোতিরাজ এলো ঐ

জ্যোতিরাজ এলো ঐ -মুহাম্মাদ সৈয়দুল হক এ কোন করুণ সুর বাজে ঐ সাহারায়, আরবমুলুকে কার আহাজারি শোনা যায়? মরু ছিড়ে ভেসে আসে বালিকার ক্রন্দন অভাগী-নর্তকীর রন-ঝন শিঞ্জন। কাঁদে বাপ ছেড়ে হাঁফ নিরবে ও নিভৃতে মায়ের ঐ রোনাজারি রয়ে গেলো বৃত্তে।                                                ভাসলো আরব মুলুক জুলুম-অনাচারে মারছে ও মরছে হায় মানুষ অবিচারে। ‘ভাই-ভাই’ ভাই নাই, হয়ে গেলো দুশমন ‘ধনে মন, মনে ধন’- এই নিয়ে কাটে ক্ষণ। নশ্বরে মজে লোক ভুলে পরমেশ্বর তাগুতের ছায়ানীড় নিলো সবে ছরপর                                              অতঃপর... যুগে যুগে এলো যত খোদার পয়াম্বর যাঁর তরে দিয়ে গেলো সকলেই সুখবর। এলো এলো এলো সেঁই তাওহীদি সন্তান বিদিশার দিশারি ধরণির সুলতান। বুকে হাত দিয়ে কয় —মুত্তালিব দাদাজান কে যেন মোর বুকেতে ঢেলে দিলো ফরমান নামখানা শোনো সবে রাখিনু মুহাম্মাদ আলমের যত জাত, ...

ধরাপর রোপোত্তম

ধরাপর রূপোত্তম -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক নিখিল-বিশ্ব ওরে আয় ছুটে আয় আমেনার ক্রোড়ে দেখ নুর চমকায়। চওড়া ললাট-মাঝে স্রষ্টার বাণী  দুচোখ-গভীরে তাঁর মুক্তার খনি চিবুক অতলে তাঁর মনোহরি বাঁশি দুঠোঁট ঠীকরে বেরোয় স্বর্গের হাসি শিরোপরি দেখনারে নুরিকেশ উড়ে যেন ভ্রমরের গুঞ্জন গোলাপের পরে। দেখ দেখ- সেঁ হাসে! দেখ ঐ হাসি দাঁতের ফাঁকে যেন রূপরাজ-শশী! ও সে হাত নাড়ে, সাথে নাড়ে পা সৃষ্টিজগত দোলে ধিন ধিন তা! ওরে দেখে যা, আয় তোরা শোনে যা কে সেঁ? কোন সেঁ রাজন এলো... জগত-সূর্য; না-না পূর্ণশশী যে তারকারাজির ভিড়ে সমুজ্জ্বল সেঁ! হেরি তাঁর নুরি রূপ এই ধরাপর– ওরে লাজে মরে দিনমণি-নিশাকর। রূপরাশির আধার –রূপোত্তম গুণবিকিরণী গুণরাজ –গুণোত্তম।