জ্যোতিরাজ এলো ঐ
-মুহাম্মাদ সৈয়দুল হক
এ কোন করুণ সুর বাজে ঐ সাহারায়,
আরবমুলুকে কার আহাজারি শোনা যায়?
মরু ছিড়ে ভেসে আসে বালিকার ক্রন্দন
অভাগী-নর্তকীর রন-ঝন শিঞ্জন।
কাঁদে বাপ ছেড়ে হাঁফ নিরবে ও নিভৃতে
মায়ের ঐ রোনাজারি রয়ে গেলো বৃত্তে।
ভাসলো আরব মুলুক জুলুম-অনাচারে
মারছে ও মরছে হায় মানুষ অবিচারে।
‘ভাই-ভাই’ ভাই নাই, হয়ে গেলো দুশমন
‘ধনে মন, মনে ধন’- এই নিয়ে কাটে ক্ষণ।
নশ্বরে মজে লোক ভুলে পরমেশ্বর
তাগুতের ছায়ানীড় নিলো সবে ছরপর
অতঃপর...
যুগে যুগে এলো যত খোদার পয়াম্বর
যাঁর তরে দিয়ে গেলো সকলেই সুখবর।
এলো এলো এলো সেঁই তাওহীদি সন্তান
বিদিশার দিশারি ধরণির সুলতান।
বুকে হাত দিয়ে কয় —মুত্তালিব দাদাজান
কে যেন মোর বুকেতে ঢেলে দিলো ফরমান
নামখানা শোনো সবে রাখিনু মুহাম্মাদ
আলমের যত জাত, গাবে সবে তার হাম্দ।
ঘরে ঘরে উঠে রব –এসেছে মুহাম্মাদ
কা’বাও ঝুঁকে যায়, বাহ্-বেশ্-কেয়াবাত।
ভ্রান্ত-অশান্ত-এ দুনিয়ার বুকে আজ
ঝলমলে জ্বলছে –আলমের জ্যোতিরাজ।
ছেঁয়ে গেলো ধরাপর রহমত অফুরান
রাহমাত-আলামিন পেলো জবে জগদান।
বুক চাপে শয়তান; কেঁদে কেঁদে হয়রান
জপে জব রব-নাম ‘আল্লাহু আহাদান’।
কুফর আর শির্ক যত এঁটেছিলো বসুধায়
ধুয়ে-মুছে সবি সাফ তাওহীদি ঝঞ্ঝায়।
আলো বলে- জুলমাত! যাও চলে বহুদূর
এসে গেছে অবনীতে খোদারই জাতিনুর।
দাস-দাসি মুক্তিতে, নারী পেলো সম্মান
হয়ে গেলো ভাই-ভাই জগতের নজোয়ান।
পরশেতে পাথরও গলে হয় গালিচা
শূন্য সে মরুদ্যান- ফুল ফুটে বাগিচা!
বয়ে দিলো পৃথিবীতে সাম্যের মহড়া
দেনে গেলো ইসলাম; শান্তির ফোয়ারা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন