সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বরাত

পড়ুন আর গভীরভাবে অনুধাবন করুন। ---------------------এক---------------------- পনেরো শাবান। গভীর রাত। মুমিনদের মা হঠাৎ আঁচ করলেন রাসুলে মকবুল বিছানায় নেই। প্রেমাস্পদ কোথায় গেলেন? উৎকণ্ঠা! অজানা ভয়। চারিদিকে শত্রুর যে অভাব নেই। মাকড়সার জালের মত ঘিরে আছে। সুযোগ পেলেই আক্রমণ করার সম্ভাবনা। বের হয়ে গেলেন ঘর থেকে। খোঁজতে হবে। সতর্কদৃষ্টে এগিয়ে চললেন। মদিনা মোনাওয়ারার বিখ্যাত কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’। নবীপত্নী নবীর খোশবো নিতে নিতে ওখানে চলে গেলেন। দুনিয়ার বাদশাহ ওখানেই। জিয়ারত করছেন। ‘মরা মানুষের’ জিয়ারত। যারা কবরে শায়িত আছেন। নবীজি যা করেছেন, তা সুন্নাত। উত্তম কাজ। তাতে সওয়াব আছে। তাই আমরাও করি। করতে থাকবো। নবীজির চোখ। জাহের-বাতেন অগোচর নয়। হুয়াল আওয়ালু, ওয়াল আ-খিরু, ওয়াযজ্বা-হিরু, ওয়াল বা-তিন। সবজান্তা। তবু প্রশ্ন- আম্মাজান আয়েশা (রা.) এর প্রতি। সন্দেহ-সংশয় কিছুই না। একটু নাড়িয়ে দেখা। স্বামী-স্ত্রীর মধুর দুষ্টুমিতে এ ধরনের প্রশ্ন নেতিবাচক নয়। মনের আবেগটা মুখ দিয়ে বের করে আনার প্রয়াশে এমন প্রশ্নের উদাহরণ অগুনতি। ‘তুমি কি এই আশঙ্কা করছো যে, আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (দ.) তোমার সাথে অবিচার করবে?’ ‘...

সাম্যবাদী-২

সাম্যবাদী-২ –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক                             চলো, সাম্যের গান গাই জগতের যত সুন্নি মুসলিম সকলেই ভাই-ভাই। আরবের কে ও, পাকিস্তানি কে, কে সে বাংলাদেশি এক কাতারে দাঁড়াবো সবে ভুলে সব রেষারেষি।  কে কার পক্ষে রায় দিলো কবে–সে খবর নাহি রেখে দিয়ে গলে শান মদিনার তান–গেয়ে যাবো এক মুখে। কে গেল ও কার আমন্ত্রণে; কারে নিলো বুকে চেপে না দেখে এসব সিনাখান তাঁর দেখে আবো সবে মেপে। থাকে যদি হেথা নবিকুলরাজ পরম ভালোবাসায় করবো কেন হে মিছে সে হিংসা; হিংসুটে কলিজায়। কে সে রেজভী, ভাণ্ডারি কে–কাদের সে দরবার? মাপকাঠি এ নয়তো হকের পরিচিতি যাচিবার। যদি না থাকে বুকভরা তার মদিনা-মুনিব-প্রেম ভণ্ড যে সে নামধারি জন–যতই থাকুক হেম। রাসুল-স্মরণে আপন বক্ষে যার যায় দিবানিশি আরবে থাক সে, থাক না ইয়ামেন–তবু যেন কাছাকাছি।  পীর-পীরালি গদি-হাদিআয় টানাটানি যারা করে ভণ্ড সেসব অন্ধ যোগী—কে বলে সুন্নি তারে? ‘আমিই সুন্নি আমিই খাঁটি’ এমন ভাবনা যাদের ছাই মারি ও মুখের ওপরে; ধিক শত ধিক তাদের। মত-মতবাদ ভিন্ন তবু হানাফি-শাফেয়ি ঠিক ঈষৎ–দ্বন্দ্বে ছন্দপতন ...
একটু দেরিতে... =>সিদ্দিকে আকবর<= –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক সিদ্দিকে আকবর– অসত্য যাঁরে ছোঁয়নি কখনো  বেনজির গুণাকর। ন্যায়ের সারথি নীতির আরতি  আদলের বাতিঘর প্রথম ত্যাগেতে, প্রীতির বাধনে  অদ্বিতীয় কারিগর। ফিরিল নবিরাজ মেরাজ-রাজন  ‘দিদারে খোদা’র পর মধুর আলাপন সেসব বিবরণ  দানিল সবার তর। ‘দেখেছি খোদারে, তাঁর নুরি জাত  অতুল-অতুল সাঝে ভেসেছি প্রেমেতে নুরের সে স্রোতে  নুর-নুর-নুর মাঝে। সপ্ত আসমান, স্বর্গ ও নরক আছে যত উপাদান কপালের চোখে ভূলোক-দ্যুলোকের দেখিলাম সবখান।’ ঠাট্টা হাসির পড়ে গেল রোল,  বোল হলো মুখে মুখে ‘মুহাম্মদ সে পাগল হয়েছে কী সব চলেছে বকে।’ চলে গেল সেই স্বর্গ-সংলাপ  আবু বকরের কানে আনিল ইমান নবির বয়ান  জানিল সত্য মেনে। ‘কে বলেছে তা, রাসুলে আরাবি?’  প্রশ্ন কেবল এই দিলাম সাক্ষ্য তবে তা সত্য;  খোদার শপথ লই। করুণার নবি ধ্যানের রবি  দেখে বকরের পানে বলিয়া উঠে ‘সিদ্দিক তুমি  জমিন ও আসমানে’। আবু বকরের অভিনব নাম  ছড়ালো ধরার ’পর সত্য-ন্যায়ের বার্তাবাহক ‘সিদ্দিকে আকবর’। (রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু)  ২৮ ফেব্রুয়ারি-১৯, বি...
হিজরত-সাথি –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ধর্ম করিতে লুট, মক্কার যত কাফের-নাকের হলো সবে একজোট। মিলিত সবাই গোত্রের ভাই; নদওয়ার বৈঠকে, কুজনের দল ভোজনের পর কল্পনা-চক আঁকে। ‘মুহাম্মদ সে শত্রু মোদের; করেছে ধ্বংস সব পুজায় অর্ঘ্য দানিতাম সবে ওজ্জা-মানাত রব। বাপ-দাদার সে ধর্মকর্ম ভুলে গিয়ে লোকজন মুহাম্মদের প্রভূর নিকটে হয়েছে সমর্পণ।’ জাহেলের সুরে সুর মিলালো গোত্রের যুবাদল, মুহাম্মদেরে হত্যা করিবে রোধিতে মুমিন-ঢল। সাহাবা সকল বেঁধে দলবল বাড়িঘর সব ছেড়ে দেশপ্রেম ভুলে নবিপ্রেমে চলে মদিনার পথ ধরে। ঐশী প্রেরণা পেয়ে নবিরাজ আয়োজন নিলো সেরে, ‘যেতে হবে তার সঙ্গে ওপার’ বলে বকরের তরে। দুজাহানে সবে কাঁদো কাঁদো রবে সঙ্গ যাঁহার মাগে ‘তাঁহার সঙ্গি’ শুনে বকরের ভাবতেই সুখ জাগে। পয়গাম কুরানের– ‘সম্বোধিলে আল্লাহ-রাসুল সাড়া চাই সকলের।’ এই ভেবে যায় শ্রেষ্ঠ সাহাবি আবু বকরের দিন না-শুনিলে বাক, রাসুলের ডাক জন্মে থেকেও লীন। ডাক দিবে যবে শ্রেষ্ঠ মানবে তখনই যেন শুনে নিদ্রা আহার সবি দিয়ে ত্যাগ কেবলি প্রহর গুনে। এলো সেই ক্ষণ; রাসুলে আরাবি কড়া নাড়ে দরজায়, ‘লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ’ সাথে সাথে শোনা যায়। ‘কিহে সিদ্দিক, ঘুমাওনি কি?’ সোয়াল ...

মনোস্ তাপ্

মনোস্‌তাপ্‌ –মুহাম্মদ সৈয়দুল হক খুব ইচ্ছে করে... কবিতার বাঁকে স্বাধীনতার কথা বলি। খুউব করে ইচ্ছে করে... শহিদদের স্মৃতির মহাসমুদ্র আঁকি। শব্দে শব্দে অঙ্কন করি সেই গৌরবগাঁথা, পঙক্তিতে পঙক্তিতে ভরিয়ে তুলি কবিতা পাতা। আকাশের ঠিক যতটা তারা,  সাগরের যত তরঙ্গধারা, বৃক্ষরাজির যতটা পাতা, উপাদান যত বসুধাভরা, ঠিক ততটা; ততটাই লিখতে ইচ্ছে করে। ততবার মুখফুটে গায়তে মন চায়,  ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা...।’ কিন্তু থেমে যাই।  কে যেন পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে বলে, চুপ কর্ হে মিথ্যাবাদী কবি। চরম ঘৃণাভরে তাকাই পেছন ফিরে  অদৃশ্য সে দানবের তরে।  আনমনে বিড়বিড় করে বলতে থাকি–কে হে নপুংসক,  কবির মিথ্যাপ্রতিপন্নকারী?  কবিসত্তার অসম্মান করিস?  ব্যাটা জোচ্চোর-ঠক-প্রতারক–সম্মুখে আয়।  এই লাটি দিয়ে আজ যদি তোর ঠ্যাং না-ভেঙেছি; তবে এই আমি কবি নই। অকস্মাৎ হুহহু করে তাচ্ছিল্যের হাসি ভেসে আসে। সাথে নরম-গরম শব্দ– ‘ও, এইটুকুতেই লাঠির বাড়ি?  শব্দ করার আগেই? তবে বলো হে কবি, তুমি কোন স্বাধীনতার কথা বলতে চাও? যে স্বাধীনতা কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তার? শাদাকে শাদা বলতে যে স...