সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইমাম আ‘জম

যদি হত... যদি হত উন্মুক্ত-সুবিশাল প্রান্তর, বিস্তৃত লোকালয়জুড়ে, দখিনা বাতাসের দোল খাওয়া  কদম গাছের ছায়ায় কিংবা জ্বলজ্বলে লক্ষ বাতির জ্যোৎস্নাতলে– আমারই ইমামের চর্চা।  গ্রন্থাগারের পল্লবজুড়ে যদি বসতো সে হাট, বাংলার মাটি ছিড়ে বেরোতো কলরব, জলের স্রোতে যদি সে আবেগ উদ্বেলিত হতো; তবে কণ্ঠে কণ্ঠে গর্বের স্বর বেজে উঠতো– হানাফি আমি; আবু হানিফাই আমার ইমাম।  হে নব্য আহল-পণ্ডিতজ্ঞ,  তব হাদিস আমাকে মুসলিম করেনি। সত্যের বার্তাবাহক–ওয়ারিসে পায়গম্বর নুমানের রুহানি সন্তান মম অধরে এঁটে দিয়েছিলো–  ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ আমি তাঁরেই চিনি, তাঁরেই বুঝি,  মানবো কেবল তাঁরেই। কারণ, আমি দেখেছি-জেনেছি; বুঝেও নিয়েছি– কুরআন-হাদিসের ইজতিহাদে তিঁনিই অদ্বিতীয়। আর তুই কি-না হাদিসের ভেলকিতে ধোঁকা পড়াতে এলি?  শয়তান! এখনই দূর হ।

হৃদযাত্রা

গুরু-শিষ্যের হ্রদযাত্রা ..................................................... ঢেউগুলি যেন কবিতার ছন্দ; বিস্তৃত কবিতার মাঠবেয়ে চলেছি সম্মুখে। সেথা কিরণমুক্তারা এসে বাসা বেঁধেছে, জড়ো হয়েছে লাল-নীল-সবুজের দল। রক্তিম টি-শার্ট যেন তরণীর পাল; হাওয়া লাগতেই নৌকা আর তরঙ্গের সংঘর্ষ; উভয়ের বাঁধভাঙা উল্লাস ভেসে উঠলো- ‘ছলাৎ ছলাৎ’। প্রাক্তনদের দন্তকিরণে হার মেনেছে সূর্যকিরণ; কোলাহল দেখে বহুগুণ বেড়েছে হ্রদোচ্ছ্বাস, দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি বৃক্ষ দুহাত প্রসারিত করে বলছে- ‘স্বাগতম হে সু-স্বাগতম’। জল আর তরণীতলের এই ঢেউ পরস্পরের কর্ণগুহায় চুপিচুপি বলছে-  ওরে ঐ–এসেছে আপনা কেউ। বরে নে, স্বর তোল্ জলতলে ছল-ছল-ছল। আজি মিশে গেছে গুরু-শিষ্য ভুলে ভেদাভেদ–উঁচু-নিচু সে দৃশ্য; সবুজের এই বিস্তৃত মাঠে ছুটছে অবুজের দল, ওরে ও কাপ্তাই হ্রদের পাখপাখালি,  কোন অভিমানে তোরা–চুপ মেরে আছিস বল। অতঃপর... আকাশ-বাতাস কম্পিত;  সুরেরা সুর তোলেছে-  ‘দে দে পাল তোলে দে...’। আর থেমে থাকা যায় না,  অভিমানদের মান ভেঙে গেছে; নিরবতা আর কতক্ষণ? পাখিরা গঙ্গোত্রী নিড়ে সব বাধা ছিড়ে  তালে তালে মহাকল্লোলে গেয়ে উঠলো- ‘ছেড়ে...

বড়পীর

লেখাটি পড়ার আগে পোস্টে দেয়া প্রথম ছবিটা একবার ভালোভাবে দেখুন।  জ্বি হাঁ, ছোট বিন্দুটা পৃথিবী। ছবিটি মঙ্গলগ্রহ থেকে নেয়া৷ কী ভাবছেন? আমরা খুব ক্ষুদ্র জায়গায় আছি? তবে আপনাকে আরেকটু অগ্রসর হতে হবে। মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় অবহিত। এটা সূর্যের আট গ্রহের একটি। পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়ো।  সবাই জানি, সূর্যের আটগ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্টি কক্ষপথে ঘুরছে। সাথে আরো যা যা আছে সেগুলোও। কিন্তু সূর্য কাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে? ‘মিল্কিওয়ে’ নাম শুনেছেন? ওটা আমাদের গ্যালাক্সি। ওটাকে কেন্দ্র করেই সূর্যের ঘূর্ণন। একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ২২৫ থেকে ২৫০ মিলিয়ন বছর! এভাবেই ঘুরছে। তার সমস্ত সৌরজগত সাথে নিয়ে। সবার দেখছি ঘুরাঘুরি ছাড়া আর কোনো কাজই নেই। এবার আরেকটু চমকে দিই। মিল্কিওয়েকে কেন্দ্র করে কি সূর্য একাই ঘুরছে? না। একা হলে সেটা আর গ্যালাক্সি হতো না৷ গ্যালাক্সি মানে ছায়াপথ। যা নির্দিষ্ট একটি আবর্তে অসংখ্য নক্ষত্রের ঘূর্ণনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য নক্ষত্র বলতে? সে সংখ্যা কত? হাতে গননা করা শক্তি কারো নেই। প্রায় ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি! ভাবা যায়? ১০০ ট্রিলিয়ন সূর্য(আয়তনে সব সমান না, ...

কুরআন পুড়ে যাওয়া

কুরআন পুড়ে যাওয়া: বিষয়টা কেমন? সন্দিগ্ধ: ঘটনা শোনেছেন? মসজিদে আগুন লেগে অর্ধশতাধিক কুরআন পুড়ে ছাই! নাস্তিকরা নানান কথা বলছে। কোনো উত্তরও দেয়া যাচ্ছে না। কুরআন তো আসলেই পুড়েছে; অথচ আল্লাহর বাণী! মান-ইজ্জত হয়ত আর রইল না। বিশ্বাসী: দয়া করে বাক্যের শেষের আশ্চর্যবোধক চিহ্নটা কেটে ওখানে দাড়ি বসান। বাস্তবতা হচ্ছে আজ যদি কাবা ঘর হেলেও পড়ে; তবুও আমার বিশ্বাস চুল পরিমাণ হেলবে না। বরঞ্চ আরো দৃঢ় হবে। কেননা আমি বিশ্বাস করি, কাবার স্রষ্টা এ ব্যাপারে স্বাধীন যে, তিনি চায়লেই এটা হেলিয়ে দিতে পারেন।  কুরআনের(যেটা কাগজ-কালিতে ছাপানো) আগুনে পুড়া আর না-পুড়াতে যাদের বিশ্বাসের ভিত সবল ও দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা কস্মিনকালেও নিজেদের ঈমানদার দাবি করতে পারে না।  কাগজ-কালির ছাপানো কুরআন পুড়তে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কাগজ-কালির যিনি স্রষ্টা, তিনি আগুনেরও স্রষ্টা। একের ধর্ম পুড়ে যাওয়া, অন্যের ধর্ম পুড়িয়ে ফেলা। বিষয়টা একেবারেই সিম্পল।  পৃথিবীর সব কুরআন পুড়ে ছাই হয়ে গেলে কি বিশ্বাসীদের বিশ্বাস টলে যাবে? তবে ঐ সস্তা বিশ্বাসের মূল্য কী? অদৃশ্য স্রষ্টায় বিশ্বাসীরা কি অদৃশ্য এ তথ্য একবারও খেয়াল করে নি যে,...