গুরু-শিষ্যের হ্রদযাত্রা
.....................................................
ঢেউগুলি যেন কবিতার ছন্দ;
বিস্তৃত কবিতার মাঠবেয়ে চলেছি সম্মুখে।
সেথা কিরণমুক্তারা এসে বাসা বেঁধেছে,
জড়ো হয়েছে লাল-নীল-সবুজের দল।
রক্তিম টি-শার্ট যেন তরণীর পাল;
হাওয়া লাগতেই নৌকা আর তরঙ্গের সংঘর্ষ;
উভয়ের বাঁধভাঙা উল্লাস ভেসে উঠলো- ‘ছলাৎ ছলাৎ’।
প্রাক্তনদের দন্তকিরণে হার মেনেছে সূর্যকিরণ;
কোলাহল দেখে বহুগুণ বেড়েছে হ্রদোচ্ছ্বাস,
দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি বৃক্ষ দুহাত প্রসারিত করে বলছে- ‘স্বাগতম হে সু-স্বাগতম’।
জল আর তরণীতলের এই ঢেউ
পরস্পরের কর্ণগুহায় চুপিচুপি বলছে-
ওরে ঐ–এসেছে আপনা কেউ।
বরে নে, স্বর তোল্ জলতলে ছল-ছল-ছল।
আজি মিশে গেছে গুরু-শিষ্য
ভুলে ভেদাভেদ–উঁচু-নিচু সে দৃশ্য;
সবুজের এই বিস্তৃত মাঠে ছুটছে অবুজের দল,
ওরে ও কাপ্তাই হ্রদের পাখপাখালি,
কোন অভিমানে তোরা–চুপ মেরে আছিস বল।
অতঃপর...
আকাশ-বাতাস কম্পিত;
সুরেরা সুর তোলেছে-
‘দে দে পাল তোলে দে...’।
আর থেমে থাকা যায় না,
অভিমানদের মান ভেঙে গেছে;
নিরবতা আর কতক্ষণ?
পাখিরা গঙ্গোত্রী নিড়ে সব বাধা ছিড়ে
তালে তালে মহাকল্লোলে গেয়ে উঠলো-
‘ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা’।
বাই দ্যা ওয়ে, জীবনের সেরা একটা ভ্রমণ ছিল। এত কোলাহল, এত আয়োজন, এত বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পরতে পরতে কেবলই আনন্দোদ্বেলিত হয়েছি। তাপ দিতে দিতে সূর্যের ক্লান্তি এলেও ক্লান্তি আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি। শেষদিকে স্মৃতিচারণের পার্টটা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। বহুদিন পর উচ্ছ্বাসভরে হেসেছি। সকলকে কাপ্তাই হ্রদের পানিসম ধন্যবাদ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন