মিস করছি ভীষণ, বারবার এসো
ইফতার করা হয় না দুদিন হলো। দিনের পর রাত, রাতের পর দিন; নিয়ম মেনেই আসছে। কিন্তু চনা, মুড়ি, পেঁয়াজি, বেগুনি, মিষ্টিদানা, শষা ও পুদিনাপাতার রসায়ন থেমে গেছে। অন্তত দশমিনিট ধরে ঘড়ির দিকেও তাকিয়ে থাকা হচ্ছে না রোজ করে। আজানের পূর্বে মসজিদ থেকে ভেসে আসে না বহু আকাঙ্ক্ষিত সাইরেনের শব্দ। একই ধরনের লেবুর শরবত আজও খেলাম; অথচ তৃষ্ণাকাতর ইফতারে খাওয়া সেই ফ্লেভারটা আর নেই।
এভাবে আরো অনেক। অনেক কিছুকে মিস করছি ভীষণ। সারাদিন প্রচুর খেয়েও না-খেয়ে থাকার তৃপ্তিটা আর মিলছে না। রাতভর ঘুমিয়ে নির্ঘুম থাকার মতো স্বস্তি পাচ্ছি না। যাদের কাছ থেকে তেন্দ্রামী করে ট্রিট চেয়েও পাইনি, তারা এখন আবদারপূর্বক যত্নে খাওয়াচ্ছে। নাহ, সেই তৃপ্তি নেই। খুউব উপলব্ধি করলাম–কিছু সময়ের না-পাওয়ার তৃপ্তি অন্য সময়ের পাওয়ার চাইতেও মধুর হয়।
সময়টার বড্ড তাড়াহুড়ো। খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। স্বার্থপর! হাজার আবেদন করলেও এক সেকেন্ডের জন্য থামে না। বেঁধে রাখার নিয়ম থাকলে বেঁধেই রাখতাম।
খোদা! তোমার দেয়া সিদ্ধান্তের সবকিছুতে সন্তুষ্ট। তবু কিছু বিষয়ে বড়ো আবদার করতে ইচ্ছে করে৷ বলতে ইচ্ছে করে, আয় বারি তাআলা! অন্তত বছরে একবার রমজান পাওয়ার জন্য হলেও আমাকে হাজার বছর হায়াত দাও। তোমার ঐ বেহেশতের লোভ না-থাকলেও রমজানটা বারবার পাবার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারি না। কারণ, এতেই তোমাকে খুব করে অনুভব করা হয়। অদৃশ্য কিছু একটার স্পর্শ খোঁজে পাই। কেবল তুমিই আমার কাছে আসো না, আমিও তোমার খুব কাছাকাছি চলে যাই...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন