এই কবিটা
এই কবিটা নকল কবি,
এই কবিটা ভণ্ড
এই কবিটার জীবনপাঠে
নাই যে কোনো ছন্দ।
এই কবিটা আলসে ভীষণ,
এই কবিটা রসহীন
এই কবিটার দূরপানে চোখ
লাগে না-রে দুরবিন।
এই কবিটা খ্যাতনামা নয়
এই কবিটা ক্ষুদ্র
এই কবিকে রাত্রদুপুর
জ্বালিয়ে মারে রৌদ্র।
এই কবিটা খামখেয়ালি
এই কবিটা লম্পট
এই কবিটা মারতে পারে
হঠাৎ করে চম্পট।
এই কবিটা পষ্টভাষী
এই কবিটা ঝাল তো!
এই কবিটার চালচলনে
উদ্ভটে সব চাল তো!
এই কবিটা চনমনে বেশ
এই কবিটা গম্ভীর,
এই কবিটা ঢেউয়ের তালে
নাচতে পারে অস্থির।
এই কবিটা শূন্যে ভাসে;
হাওয়ার মুখে স্থির,
এই কবিটা যায় তলিয়ে
শক্ত মাটির পিঞ্জির।
এই কবিটা প্রবোধ গুনে
আকাশজুড়ে উড়বে,
এই কবিটার ইচ্ছে প্রবল
মনের দেশে ঘুরবে।
এই কবিটা মিশুকপ্রিয়;
এই কবিটা নির্জন,
এই কবিটা হাসতে হাসতে
করতে থাকে ক্রন্দন।
এই কবিটা পাপের নহর;
এই কবিটা শূন্য,
এই কবিটার জীবনখাতায়
নাইতো কোনো পূণ্য।
এই কবিটা অভিমানী;
এই কবিটা কমজোর,
এই কবিটা ভালোবাসা
বুঝে না কী প্রেমসুর।
এই কবিটা কবি তো নয়;
এই কবিটা ভণ্ড,
এই কবিটা কবিকুলের
মান করেছে পণ্ড।
[বিঃ দ্রঃ প্রথম লাইনটার রচয়িতা স্নেহের মুকিম। মজাচ্ছলে রচেছিল৷ পরে দেখি মিলে যাচ্ছে। তাই উল্টাপাল্টা মিলাতে শুরু করলাম। মিলেও গেলো বেশ। আমি এমনই, লোকের কথায় কী আসে যায়...]
(১৮,০৮,১৯ খ্রিষ্টাব্দ,
রবিবার, তপ্তদুপুর।
তালুকদার ভবন,
শ্যামলি আ/এ)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন