শূন্যতা
একাকী হাঁটছিলাম,
বুকে-মুখে শূন্যতা।
কেবল বুকে-মুখে না, সবটায়।
চরম শূন্যতা...
চাঁদের মত ক্ষুদ্রক্ষুদ্র
কালো দাগ পড়েছে মনের একপাশে।
অপর প্রান্তে সূর্যের উত্তপ্ত রশ্মি
মগজে উপত্যকা,
তিনপাশ পাহাড়ে ঘেরা,
একপাশে চিনচিনে জলের রাশি।
অদ্ভুত! চোখ দিয়ে না-ঝরে মগজে ঝরছে।
কোথাও ঝরনাধারা, কোথাও বা অগ্নিকুণ্ড।
এক দেহে এত রূপ–বিস্ময় জাগানিয়া।
হঠাৎ হাতের স্পর্শ।
শিমুলের মত তুলতুলে কোমল হাত।
আঙুলের ফাঁকগুলো পূর্ণতা লাভ করেছে।
হাঁটছি...
ভালো লাগছে চরম।
সাইমুন আর ঝরনাধারা বিশ্রামে গেছে,
শীতল হাওয়ার আগমন।
স্নিগ্ধ সকালের সেই মায়াবেশী হাওয়ার মতন।
জড়ায়ে ধরেছি তবু
হাতদ্বয় আপন জায়গায় স্থির।
মোহের সমুদ্রে নিমজ্জিত
কত-ক্ষণ কত-যুগ ছিলাম জানা নেই।
হঠাৎ আঁচ করি, বুকের মাঝে কেউ নেই।
আঙুলের ফাঁকে অপর আঙুলগুলো
আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হলাম।
ডানে-বামে খোঁজাখুঁজি বেশ,
কোথাও যে কেউ নেই।
তবু আছে একজন, অন্তরালে-অধরা।
চিরসাথী আমার... শূন্যতা!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন