শিষ বেরোলো ঐ
দাদা ডাকে তার নাতিকে—
ও দাদুভাই কই
দেখে যারে ধানের গাছে
শিষ বোরোলো ঐ
ফোকলা দাঁতে নাতি মাতে
শিষ দিয়ে কী হয়?
খেলা যায় কি ‘ছালন খেলা’
খেলনাপাতি লই?
বলে দাদু না-রে বুড়ো
ছালন-পালন নয়
পাকলেরে ধান তা ফুটিয়ে
খাবি ধানের খই।
আচ্ছা দাদু, দুমাস আগের
কথা মনে আছে?
পান্তাভাত আর লবণ মরিচ
নিতাম বিলের কাছে।
তোমরা সবে ধান রুপিতে
গোজ মেরে কোমরে
দাদির দেয়া ভাতের হাঁড়ি
নিতাম মাথায় করে।
পান্তা পেয়ে সে কী তোমার
হুশ থাকিতো আর
আইলে বসে গামলাসহ
করতে যে সাবাড়।
হেহ হেহ হেহ হাসে দাদু,
গাল টেনে কয় বুড়ে—
আমি কিরে একলা খেতাম
দিতাম না কি তোরে?
আইলে বসে খেতাম যখন
তপ্তরোদে পুড়ে
আদর করে কে খাওয়াতো
মুটোয় মুটোয় পুরে?
মা-রে ওমা সে কী কথা!
বলছি কী তাই আমি—
আমরা দুজন বন্ধু বলে
খাওয়াই দিতে তুমি।
থাক সে কথা পরে হবে
আগে বলো ভাই—
শিষ বেরোলে খইয়ের সাথে
আর কী খাওয়া যায়?
খাবি না-হয় অনেক কিছু
পাকতে আগে দে
তার পরেতে কেটে সবি
উঠান ভরাবে।
তোর
দাদী-দিদি মাসি-পিসি
সবে মিলেমিশে
করবে হরেক স্বাদের পিঠে
তামার পাড়ায় পিসে।
পিঠের কথা শুনতে দেরি
নাতির লাফ কে দেখে
এই যেন সেই খাচ্ছে পিঠা
খেজুর রসে মেখে।
কল্পনাতে হালুম-হুলুম
হাত পুরেছে মুখে
থামে কিরে দাদুর হাসি
এমন কাণ্ড দেখে...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন