সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
৭২বাতিল ফেরকার দল মূখ বন্দ//// আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। জিন্দাবাদ ♥ ৭৩টি দলিল একসাথে, আলেমগন সংগ্রহে রাখুন। লিখেছেন- ঢাকা কাদেরিয়া তৈয়্যবীয়া মাদ্রাসার উপাধক্ষ্য আল্লামা আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। ১। নবীজীকে ভালবাসলে জান্নাত নিশ্চিতঃ   মিশকাত শরীফ ১৩, মিশকাত শরীফ ১৪ নং হযরত ইবরাজ (রাঃ), মিশকাত শরীফ ১২ ও মিশকাত শরীফ ৪২৬ পৃষ্ঠায় হযরত আনাস (রাঃ) (বুখারী ও মুসলিম), মিশকাত শরীফ ৩০পৃষ্ঠায়হযরত আনাস (রাঃ) (তিরমিযী), মিশকাত শরীফ ৪২৪ পৃষ্ঠায় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) (বায়হাকী), মিশকাত শরীফ ৪২৫, মিশকাত শরীফ ৫৪১ পৃঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) (বুখারী ও শরহে সুন্নাহ), হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) (বুখারীশরীফ ২য়খন্ড ৭২৭ পৃঃ), হযরত আনাস (রাঃ) (বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ১০৫৯ পৃঃ)।মুসলিমশরীফ ২য় খন্ড,৩৩১পৃঃ হযরত আনাস (রাঃ) মুসলিমশরীফ ১ম খন্ড ২১৯পৃঃ মিশকাত শরীফ- ৪২৬পৃঃ বুখারী শরীফ-২য় খন্ড ৯১১পৃঃ বুখারী শরীফ ১ম খন্ড ৫২১ পৃঃ, বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ৭২৭ পৃঃ হযরত সালমান ফারসী (রাঃ), বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ১০০২ পৃঃ হযরত ওমর (রাঃ), বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ১০৫৯ পৃঃ হযরত আনাস (রাঃ), বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ৮৮৭ পৃঃ হযরত আবু...

একটি বিকেল, অতঃপর...

একটি বিকেল, অতঃপর... -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক পড়ন্ত বিকেল। একটু আগেই আসরের নামাজটা শেষ করে মসজিদ থেকে বের হলাম। মসজিদের বামে কবরস্তান। এর বামে মাঠ। মাঠের বামে বহুবছরের পুরোনো মাজার। যিনি শায়িত আছেন তাঁর নাম ‘হযরত গোলাম হোসাইন শাহ।’ সাথে মাদরাসাও আছে একটা। এর পশ্চিমে বাগান। সুযোগ থাকলে গোধুলিটা উপভোগ না করে ছাড়ি না। একপা দুপা করে চলে গেলাম বাগানের শেষমাথায়। একদম পশ্চিম কোণায়।  লোকজন নেই। এদিকটা লোকশূন্য। গোধুলী উপভোগের জন্য এরচে ভালো জায়গা হয় না। সামনে বিস্তৃত ধানক্ষেত। ভিন্ন ভিন্ন দূরত্বে পশ্চিম ও দক্ষিণে ছোট ছোট টিলায় ঘেরা। কাটাগাছের একটা গোড়ায় কিছু পাতাযুক্ত ছোট ছোট ঢাল পেতে বসে পড়লাম। আজকের গোধুলী একটু আগেভাগে চলে এসেছে। আকাশে প্রচুর মেঘ। সূর্য দেখা যাচ্ছে না। গেলে খারাপ হতো। পশ্চিম দিকে মুখ করে বসা যেত না। শিরশির বাতাস বইছে। পাঞ্জাবির বোতাম খুলে দিলাম।  ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আছি। হলদে ভাবটা চলে গেছে। গাঁড় সবুজ রং ধারণ করেছে। মনোরম দৃশ্য। এ দেশের কৃষকরা একেকজন বিরাটমানের শিল্পী। কত নিখুঁত এঁদের নিশানা। ধানের গোছাগুলো কোন যন্ত্র ছাড়াই এমনভাবে রোপন করছে যে, সেগুলির দূরত্বে হেরফের...

চাঁদ কী বলছে?

দেখেছি আর কত? অদেখায় রয়ে গেছে সব। চলুন দেখি, চাঁদ কী বলছে... ✏মুহাম্মদ সৈয়দুল হক চাঁদ তো দেখেছেন? হ্যাঁ, দেখেছেন। আমি তো এখনো দেখছি। পূর্ণচাঁদ। ঝলঝল করছে। তার আলোয় এইমাত্র একটা মশাও মারলাম৷ দেখুন না, তার ছোঁয়ায় মেঘগুলোও কীরূপ লাবণ্যময় হয়ে উঠেছে! মোজাইক পাথরের মত করে আকাশটাকে কীরূপ সাজিয়ে তুলেছে! দেখে বড়ো ঈর্ষা জাগছে, জানেন? কিন্তু কতক্ষণ থাকে এ আলো? কদিন থাকে এ পূর্ণতা? দুদিন পরে দেখবেন চাঁদটা ছোট হয়ে গেছে। কদিন পর আরো ছোট। একসময় দেখাই যায় না। যত্তসব ঢঙ! আচ্ছা, এটা কোনো কথা? এতবড় চাঁদটা ক্রমে এত ছোট হয়ে যাবে? তার লাবণ্যতা দেখা যাবে না? ধুর... যাক গে, তাতে তো সমস্যাই নাই দেখছি। এর পরে তো আবার উঠবে। একদম কাঁচির মত চিকন হয়ে৷ তারপর ধীরে ধীরে চৌদ্দদিনের মাথায় আবার আজকের মত পূর্ণ হয়ে যাবে৷ যৌবনের লীলা দেখাবে। আপাতত ঠিক মানুষের জীবনপরিক্রমার মতই মনে হচ্ছে। মানুষ জন্মে। ধীরে ধীরে বড় হয়। একসময় পূর্ণতা পায়। আবার ক্ষয় হতে থাকে৷ একসময় মরেও যায়। কিন্তু চাঁদের লীলা এখানেই শেষ নয়। সে আজ অন্য লীলা দেখাচ্ছে। অন্যকিছু দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আমার এ কথায় অবজেকশন দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ইতোমধ্যে। তারা যুক্তি প্রমা...

শেষ সম্ভাষ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সে ভাষণকে ছন্দে বাঁধবার ব্যর্থ প্রয়াস... শেষ সম্ভাষ (বিদায় হজের ভাষণ) ✏মুহাম্মদ সৈয়দুল হক  ... শূন্যে রবি চমকায় উটের পৃষ্টে চড়ে নবিরাজ  পৌঁছিলো আরাফায়। দলে দলে এলো সাহাবা সকল  আরাফার ময়দান সামনে দাঁড়ায়ে আছে মহাজন  শোনাতে সমতা-গান। লক্ষ লক্ষ অনুচর সবে  কান পেতে শুনে রয় দুইজাহানের বাদশাহ নবী  কোন কোন কথা কয়। দুনিয়ার রবি দুপারের নবি  ভাষণ করল শুরু- ‘শোন ওরে শোন সাহাবা সকল  শুনে রাখো জল-তরু। এবারের পরে হবে না হয়ত  সফর হজের পথে হয়ত মিলিত হবো নারে ফের  আরবের আরাফাতে। এ নগর যথা মহামহিয়ান  তেমনি সকলে জেনো- একে-অপরের ধন-মান-তন  নিরাপদ রেখো হেন। বিপথগামীতা-পথভ্রষ্টটা  নিয়ো নাকো বেছে কভু অচিরে হিসেব করবে গ্রহণ  জগৎস্রষ্টা প্রভু। যুগে যুগে বহু জাতির উপরে  ধ্বংস নেমেছে এই- জাত-মান তুলে বিবাদ-দুয়ারে  কড়া নেড়েছিলো যেই। পুরুষ-নারিতে ভেদাভেদ করে  চলো নাকো দিবারাত পুরুষ যেভাবে মানুষ জানিও  নারিরাও সে সে জাত একে অপরের অধিকার দিয়ো,  হরণ করো না ভুলে দাসদাসি সবে আপন ভাবিও  জন্মেছে নরকুলে।...

এই মোর গাঁ

এই মোর গাঁ -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক সারি সারি ধানক্ষেত মাঝখানে আল দুইধার মাপা যেন- গালের চোয়াল। শ্রমজীবী চাষিদের অঙ্গেরো ধুল হয়ে উঠে সবুজাব ধনধানে ফুল। এই গাঁয়ের খালবিলে কবিতার সুর গগন-পবনজুড়ে আহ কী মধুর! টুনটুনি-বুলবুল হরদম ডাকে সুমিষ্ট কলরবে বৃক্ষের ফাঁকে সকাল কিংবা সাঁঝে  করে কলতান কিছিরমিছির রবে বেঁধে দেয় গান। রাত হলে বসে যায় জোনাকির হাট ঝিকমিক করে জ্বলে মাঠ থেকে ঘাট। ধবল দুধের মত আকাশের চাঁদ সেই দুধে স্নাত সব গাঁয়ের বিষাদ। নিরব-নিরালা ঐ রাতের আকাশ পরানজুড়ানে গাঁ’র হিমেল বাতাস গল্পগুজবে মাতে গাঁয়ের উঠান পাড়ার মাসিপিসি কাকি-বৌঠান। খোকাখুকি দেয় ছুট হৈচৈ রব ধুলবালি মেখে গা’য় একাকার সব।           গাছের অগ্রে বাওয়া           তরুবিশেষ           যেন সুভন-সুশ্রী           বালিকার কেশ সতত রূপের রাণী এই গাঁও মোর বিছানো তা পল্লির দূর বহুদূর...
লাদুনিয়্যাতের বিস্ময়ঃ খাজা চৌহরভি (রহ.) --মুহাম্মদ সৈয়দুল হক হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভি (রাহ.)। এলমে লাদুনির সাথে জড়িত একটি নাম। কুরআনে এসেছে ‘আনআমতা আলাইহিম’। অর্থাৎ তিনি(আল্লাহ) তাঁদেরকে নেয়ামত দান করেছেন। আর খোদা তায়ালা যাদেরকে বিশেষ নেয়ামত দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাদেরই একজন হযরত আবদুর রহমান চৌহরভি (রাহ.)।  জন্মেছিলেন ১৮৪৩ খ্রীষ্টাব্দে পাকিস্তানের এটোবাদ জেলার হরিপুরে। ছোটখাটো গড়নের অনাড়ম্বর, স্বল্পভাষী, স্বল্পভোজী, মিষ্টভাষী এ ব্যক্তি বাল্যকালেই পিতৃহারা হন। বয়স তখন মাত্র আট। মগ্ন হয়ে পড়েন কঠোর সাধনে। একাকি নির্জনে ধ্যানমগ্ন হয়ে অবিরত সাধনায় লিপ্ত হলেন। ধীরে ধীরে কামালিয়তের দিকে এগোতে থাকা এ মহাপুরুষ একসময় তৎকালিন পীরে কামেল আখনু শাহের দরবারে গিয়েছিলেন বায়াত গ্রহণ করতে। কিন্তু আখনু শাহ (রাহ.) বিরল ক্ষমতাধর এ বালককে বায়াত না করিয়ে বললেন যে, আপনার পীর নিজেই আপনাকে বায়াত করাতে যথাস্থানে হাজির হবেন। আখনু শাহের কথামতোই একটা সময় চৌহরভি (রাহ.) এর রিয়াজতের স্থানে এসে ওনাকে বায়াত গ্রহণ করান বিখ্যাত সুফিসাধক হযরত ইয়াকুব শাহ গিনছাতরি (রাহ.)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যেমনটি বলেছিলেন- ‘আল্...

সালাম

মাথায় টুপি পড়ে রেললাইন ধরে একাকি হেঁটে চলেছে নির্জন। নির্জন মানে জনহীন। নামের সাথে কাজের অদ্ভুত মিল তার। বেশিরভাগ সময় সে এভাবেই হাঁটে। একা একা৷  হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। শহুরে পরিবেশ ছেড়ে প্রায় গ্রাম্য এক পরিবেশে। রাস্তার দুধারে বিলের পর বিল৷ সবুজের সমারোহ। সবুজ সমুদ্র বলা চলে৷ সামনে বিশাল বেড়ার পাল। এ যাবৎ এত বেড়া একসাথে কপালের চোখে দেখে নি সে। মাঝের সময়টাতে অনেকের সাথে সালাম বিনিময় হলো। বিনিময় বলতে সে কেবল নিয়েই চলেছে, দিয়েছে কম। তাই স্মার্ট ফোনের স্কিনটার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। নিজের দাড়িগোঁফগুলো বামহাতে হালকা নাড়াছাড়া করছে আর মনে মনে ভাবছে, সে কি আসলেই বড় হয়ে গেছে? তাকে কি হুজুর হুজুর লাগছে?  না হয় অপরিচিত অনেকে তাকে অবলীলায় সালাম দিচ্ছে কেন? বড়-ছোট আর উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরের সালাম বিনিময়ের সংস্কৃতি যে এদেশে অনুপস্থিত। তবে কি সেটাই সত্য যে, সে বড়ো হয়ে গেছে? নাকি অন্য কারণ? কে জানে! সঠিক নির্ণয় করতে বেগ পেতে হচ্ছে আজকাল। ভাবতেই কেমন জানি লাগছে তার। একসময় বড়দের প্রতি জেলাস ফিল করতো সে। বড়দের সালাম দিতে হয়, তাকে কেউ দেয় না বলে। অদ্ভুতভাবে সে এখন জেলাস ...