সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চাঁদের সাথে...

চাঁদের সাথে...... -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক সে না রাখলেও চাঁদ কথা রেখেছে। চলে এসেছে। ঠিক নিয়ম করে। সহজ কথায় রুটিন মাফিক। চাঁদ কখনো বেঈমানী করে না। মাঝে মাঝে বেয়াড়া মেঘগুলোই কেবল ঝগড়া বাঁধায়। আমাদের আলাদা করতে চায়। তবু পারে না। পাঠক ভাবছে- লেখক পাগল হয়ে গেছি। আমরা তো আলাদাই। কত ক্রোশের দূরত্ব। এক হলাম কী করে? ভাবনা ঠিকাছে। তবে ভাবের পার্থক্য এই- এতদূর থেকেও চাঁদের আলোটা আমার গায়ে এসে পড়ছে। মাঝখানে কত বাধা-বিপত্তি। সবকিছুকে ছাপিয়ে। তার আলোয় আমি আলোকিত। অদ্ভুতভাবে আমিও মুখোমুখি বসে আছি। তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে। শত-ক্রোশ দূর থেকেও। তার সাথে কথাও বলছি। ভাবছেন- একা একা? ভুল। চাঁদ আমার সাথে কথা বলে। আপনার সাথে হয়ত বলে না। আমার সাথে বলে। সে কত কথা! তার কি শেষ আছে? তাই আমার কাছে দূরত্বের সংজ্ঞা দুরকম। একটা পথের আরেকটা মনের। পাঠক পথের দিকটাই বিবেচনায় নিচ্ছে অথচ মনের দিক থেকে আমরা একদম কাছাকাছি। একহাতের মত। সেদিন চাঁদকে প্রশ্ন করলাম- ‘আচ্ছা চাঁদ নানা, বলতো সবচে সুন্দর জিনিস কী?’ চাঁদকে আমি নানা বলে ডাকি। ছোট বেলায় মা যখন চাঁদ দেখাতো, তখন বলতো- ‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা।’  যখন একটু বুঝতে শিখেছি,...

বাদল দিনে

এমন বাদল দিনে, তুমি বিনে     চক্ষু মেলিয়া, দেখিয়া দেখিয়া খুঁজে ফিরি, যতন করি      কোথায় সে মোর নীল নয়না? ঘুম ঘুম ভাব, অচেনা অনুভব     শুনিয়া সু-মধুর, চেনা সে প্রিয় সুর  স্বরিয়া তাকে, বাঝে বুকে      কোন সে আকাশের মেঘলা যাতনা?

বর্ণের বড়াই

★★বর্ণের বড়াই★★ """""""মুহাম্মদ সৈয়দুল হক পদ্ম রাণীকে শুধিলাম ওহে মহারাণী       এত ঐশর্য্য তোমার কোথায় পেলে শোনাও সে কাহিণী সু-মধুর সুঘ্রাণে পাগল কর ভূবন        কি জন্য এত কদর তোমার, কোন সে কারণ? সহসা উত্তরিল সে হাসিয়া একটুখানি       গুণি আমি গুণবান সেটা ঠিক মানি তবে কি ভাবিয়া কভূ, ওহে প্রেমের কবি        নাহি যদি থাকিত দূর্গন্ধ মোর সুঘ্রাণে কি তুমি হইতে অন্ধ?     এত ঐশর্য্য এত সুঘ্রাণ, দূর্গন্ধই তো দিল সবি! আঁধার আছে বলেই আলোর এত দাম       হায় বিবেক! কেমনে করি আঁধারের বদনাম! লভিতে পূর্ণিমার আলোভরা রাত       হে কবি! তুমি জেগে থাক নির্ঘাত? কিন্তু আমাবশ্যার কালো রাত যদি নাহি থাকিত       কেইবা পূর্ণিমার জন্য থাকিত অপেক্ষারত? তুমি সুশ্রি বলিয়া হিংসেই কি তোমার বুক ফাটে?       অহংকারে কি তোমার মাঝে মাহতাব রটে? বড় সুন্দর তুমি অতি লাবন্যময়       সৃজিল যে তোমায় কোন সে দয়াময়? কুশ্রি অতি বিশ্রিও বটে, নয় কি আমি মানুষ?        কো...

মুসলমান

★মুসলমান★                মুহাম্মদ সৈয়দুল হক মুসলমান! অর্ধ জাহান চষে বেড়িয়েছিলে, কোথায় সে সম্মান? কোথায় ওমর, কোথায় খালিদ, কোথায় খোদার শের? ওঠে এসো তোমরা দানব দুনিয়ায় মৈত্রি আনো ফের! কোথায় ফোরাত, কোথায় কারবালা, কোথায় শহিদ হোসাইন? ত্যাগের শুধা পিয়ে দাও মোদের, শিখাও খোদার আইন! ভুলেছি বাণী; স্মরিবে কে সে? ‘মুসলিমু আখুল মুসলিম’ ভরেছে জুলমতে ধরাধামেতে ভ্রাতাগণেও আজ জালিম! কই সে বদর; সাওমী মুমিন, দন্ত দেয়া সে বীর কোথায় ওহুদে? সর্বদাতা সিদ্দিক কোথা, রাখে যে রাসূল-আল্লায়! গজনী সুলতান গেলো কই আজ, ছেড়ে ফেলে নরাপৃষ্ঠ! লজ্জিত মুসলিমে খোদায়ী আ-লমে দিশা দিবে কোন বীরশ্রেষ্ঠ? এসো হে সুফি, ছুটে এসো তুমি, এসো হে মঈনুদ্দীন এসো শাহ্জালাল, খোদার দুলাল, এসো হে মহিউদ্দীন। জিন্দা কর পূণ তবলোক গুণে খোদার মহান দ্বীন দুরিভূত হোক গৌড় গোবিন্দ, ইবলিশি যত জিন! মুসলমান! কোথায় তোমার আধিপত্য, মর্যাদা পর্বত সমান? আদর্শ কোথায়, ত্যাগ কোথায়, কোথায় জিহাদ অবিচারে? বীরবল তোমার গেল কই আজ, হত্যাযজ্ঞ যবে নির্বিচারে! পবিত্র ভুমি মক্কা-আরব, জাহেলি যুগের কালে      নরাধমে অপবিত্র ক...

বেদনা অব্যক্ত

★অব্যক্ত বেদন★        '''''''মুহাম্মদ সৈয়দুল হক  কোলাহল কলরোল,       চারিদিকে হট্টগোল! পূণ্যের মাতম চলিছে       মুসল্লির ভারে মসজিদ কাপিছে! ঐ মসজিদ ভরা মুসল্লি আছে        নামাজি গেল কই? মসজিদে গেলেই মুসল্লি        নামাজ পড়িলে নামাজি নয়!!! তোর বক্ষে নিয়া ঈর্ষার পাহাড়        পেট ভরা তোর সুধে, মসজিদ পতি করিতেছ দাবি        মারিয়ে নির্বোধে! ঐ নামাজ তোর মুখে মারিবে         স্রষ্টা সপাট জোরে দেখনা "মাউন" চোখ মেলিয়া       থাকিস না আর ঘোরে। অ সে মসজিদ নয় উহা,            নয় পূণ্যালয় খোদার ঘরে চলবে তোমার হুকুম            সেটা কেমনে হয়?? ভেঙ্গে ফেল ঐ ইট পাথরের দালান          মসজিদ নাই আর উহা, খোদার শাসন উঠিয়ে নিয়ে আজ          তোর শাসন চলছে যাহা! আজ বুক কাঁপে কেন ধুপ ধুপাধুপ       চোখ জলে মোর টগবগিয়ে ঐ মসজিদ য...

খোদার মেহমান

★খোদার মেহমান★                  মুহাম্মদ সৈয়দুল হক     ঘোরে নাকি এখনো তুই                            ওহে মুসলমান     তোর দ্বারেতে এল যে ঐ                        খোদার মেহমান। ঘুমিয়ে যে তুই করলিরে শেষ              এশা আর ফজর    হেলায় খেলায় কাটিয়ে দিলি                     জোহর মাগরিব আসর দেখনা এল তোর-ই-ত্বরে               রহমতের ফরমান।। দুনিয়াদারীর ফাঁদে পড়ি    পূণ্যের কথা গেলি ভুলি       ঈর্ষা গীবত করে ভরলিরে                        তোর পাপের থলি মাগফেরাত তাই দিল যে ঐ              প্রভূ রহমান।। দুনিয়ায় থেকেও জ্বলছিলি তুই      ...

গ্রামই সেরা

♦গ্রামই আমার সেরা♦             ____এস.হক হায়রে নগর হায়রে শহর        চার দেয়ালে ঘেরা             দালান তলে বন্ধি সবাই                   জেল কারাগার ছাড়া। নাইরে কোথাও মুক্ত বাতাস       নাই একখানা মাঠ             গাড়িন জ্যামে তপ্ত এ                   নগর রাস্তাঘাট। হাটবো কোথায়,ঘুড়বো কোথায়         গল্পের আসর কই              চলতে ফিরতে দূর্ঘটনার                     আতঙ্কের মাঝে রই। গ্রামে আমার নাইতো এসব        নাইরে চিন্তা-ধারা               আছে সেথা বাবার শাসন                   মায়ের মমতায় ঘেরা। এ নগরে নাইরে কোথাও        সবুজ শ্যামল রূপ   ...

আত্মরূপ

♦আত্নরূপ♦              __এস.হক অপরের দোষ খুঁজিতে ব্যস্ত       আত্নদোষ লুকায়িত       হই যে আমি পরিতৃপ্ত করিয়া অন্যলোকে হেস্তন্যস্ত। বসন-ভুষন দেখিয়া যাও মোর         বেশভুষায় সু-চতুর     বসলি কেন পাশে গফুর? চেড়া কাপড় যে পরনেরে তোর! আপনার তালে যে মাতিয়া চলি       হলেও সত্য জলাঞ্জলি       ইচ্ছে যাহা হয় তাহাই বলি আঘাত দিতে কাহাকে নাহি ভুলি। আকাজ কু-কাজ করিয়া বেড়াই        পর-অন্ন লুটিয়া খাই     চোর বলিয়া মারিতে যায় চুরিলে কেউ অভাবের তাড়নায়। নির্গুণি হয়েও আমি বেশ গুণবান          অতূল্য যে শান-মান      ক্ষমতার জোরে সবি সমান ফারাক হইলেও জমিন-আসমান। নোবেল পেতে পারি দাম্ভিকতায়!           ১ম স্থান অলসতায়!      অতি চালাক মিথ্যা কথায়! গলাবাজিতে যে আর তূলনাই নাই। তবু আমি ভাল মানুষ সকলের ত্বরে!            মূলরূপ জানেনা রে! ...

প্রেম ছাড়া কি মানুষ বাঁচে

♥প্রেম ছাড়া কি মানুষ বাচে?                  ___এস.হক প্রেম থাকা চাই সবার কাছে     প্রেম ছাড়া কি মানুষ বাচে? প্রেমের পাগল খোদা-রাসূল       প্রেমছাড়া যে সবই মিছে।   প্রেমিক যারা প্রেমের মরা  প্রেম ছাড়া আর কিই বা বুঝে?   তাই তো তারা এই জগতে সবখানেতেই প্রেম কে খুঁজে!   প্রেম পাগলা হয়ে আউলা  গলায় পড়িয়া প্রেমের তাবিজ   নিজের গোস্ত খুলিয়া দেয় খোদায় মজে শামসে তাবরিজ    লাইলিপ্রেমে পাগল পারা     কায়েস হইয়া প্রেমের মরা মজনু খেতাব লভিয়া নিল     পান করিয়া প্রেম পোয়ারা না বুঝিলে প্রেমের মর্ম      মিছে তবে এই ধর্মকর্ম প্রেমহীন যদি হয় গো মরণ      বৃথা তবে মানব জন্ম। ভবের পাগল প্রেমিক সৈয়দ     না পাইয়া প্রেমের মদ আনমনে তাই খুঁজিয়া বেড়ায়    কোথায় সে প্রেম শরবত?

রূপনগর

♦রূপনগর♦                 -----এস.হক দেখতে খোদার ঘর      চল তবে যায় রূপনগর। রূপনগরের রূপের রাজা             আমার বাবা ভান্ডারী দেখিলে সে রূপের নগর           থাকবে নারে ঘর বাড়ি সে নগরের পাইলে খুশবো             নিতে থাকবে জীবনভর। ঐ নগরের নাগরিকরা              শরাব পানে মত্ত রয় খোদাপ্রেমের শরাব খেয়ে               বেহুশ হয়ে পড়ে রয় খুঁজি ফিরি দিন কেটে যায়           কোথায় অ সে রূপের বর। রূপনগরের রূপের খেলা            বুঝতে পারে সাধ্য কার কাঠমোল্লারা বিলাতে থাকে           ফতোয়ার কালো বাহার গর্ব খর্ব করিয়া এসে           দেখে যা সে রূপসাগর। সৈয়দ বলে বিনয় করি            ওহে দয়াল ভান্ডারী তুমি আমার দিলের কাবা       ...

রাজচোর

♠রাজচোর♠            →→এস হক অ রে অ চোরের দল, কবে হুঁশ হবে বল মানুষের টাকা মেরে সজাৎ জোরে                                      লাফিয়ে লাফিয়ে চল। ক্ষমতার সিংহাসনে,অতিশয় অতি যতনে করতেছিস রাজচোরি যে ইচ্ছাভরি                                      মেরে মেরে জনগনে। ভাষনের হুঙ্কারে তোর,মজলিস কেঁপে বিভোর জনতার মন জুড়িয়ে দম ফুরিয়ে                                             বাহবা নিয়ে ঘুর। ভাষনের দশভাগ সত্য,দিয়ে সব ভুঁয়া তথ্য করে সবে মগজ ধোলাই ছাগল বানাই                                        করে নিস অানুগত্য। অ রে অ ভদ্র শয়তান,অন্যের করে বুহতান চালিয়ে আর কতকাল হাতুড়ি সাবাল ...

জান্নাতের গ্যারান্টি

😀জান্নাতের গ্যারান্টি😀                       →→সৈয়দুল হক কেন এত নামাজ রোযা, করিস কিসের ত্বরে?     অর্থহীন এ বন্দেগিতে খাটিস মরে মরে! দিব্যি তোরা রাত্রি জেগে দাড়িয়ে জায়নামাজে     আরামের ঘুম হারাম করিস বৃথা মন-মেজাজে! লক্ষ টাকা উড়িয়ে তোরা দূর দেশে দিস পাড়ি      হজ্ব করে লাভ কিরে তোর ছেড়ে বাপের বাড়ি!   হেতুহীণ তোরা পরের ত্বরে বিলাতে থাকিস অর্থ    যাকাত সদকা দিয়ে কি লাভ,সবি তো মূলে ব্যর্থ! কিসের ত্বরে দুনিয়াদারি কোন্ কারণে এ সব    এসব করে জান্নাত পাওয়া নয়তো আদৌ সম্ভব! তার চেয়ে ডের উত্তম কাজ রয়েছে আমার কাছে   তালেবান আর আই.এস যুগে নামাজ রোযা মিছে! শর্টকাট যোগে কে দিবে ভাই লম্বা রাস্তা পাড়ি?       সংক্ষেপে আমি দিচ্ছি বলে রাস্তা জান্নাতেরি! স্বর্গে যাওয়ার সহজ পন্থা পাবে না সুযোগ ছাড়লে ডাইরেক্ট জান্নাত লভিবে সাজেশন আমার মানলে! বুকে বেঁধে এক মস্ত বোমা লোকসমেত যাও মরে তুমি আর তোমার চৌদ্দ পুরুষ জান্নাতে রও পড়ে! এমন সুযোগ হাত ছাড়া নয়,বৎস! আবুল,বান্টি   ...

আপনার মাঝে

♥আপনার মাঝে♥               মুহাম্মদ সৈয়দুল হক তোমাকে খুঁজেছি আকাশের ঐ নিলিমায়  তোমাকে খুঁজেছি দিগন্তের ঐ সিমানায়       নাই নাই নাই, তুমি কোথাও নাই। তোমাকে খুঁজেছি রোদ্রদীপ্ত ঐ মেঘমালায়  তোমাকে খুঁজেছি বসন্তের ঐ জোসনায়      তুমি নাই নাই নাই, কোত্থাও নাই। বৈকালের ঐ মৃদু হাওয়ায় খুঁজেছি তোমায়,  খুঁজেছি কত লগনের ঐ গোধুলি বেলায়,      কিন্তু তুমি নাই, নাই কোথাও নাই। ঐ বয়ে যাওয়া নদীর ধারায় হেটে হেটে যায়,   চলতে চলতে কতই না খুঁজেছি তোমায়,       নাই তো কোথাও, নাই নাই নাই। সোনালী আঁশের আলটি বেয়ে, কে দৌড়ায়?  তুমি ভেবে ছুটিলাম আনমনে তৎক্ষনায়!      কিন্তু হায় নাই,সেখানেও তুমি নাই। কতই না খুঁজিলাম হায়!পৃথিবীর এ সিমানায়  আশ্চর্য! কোথাও খুঁজে পেলাম না তোমায়,      তুমি যে কোত্থাও নাই, নাইতো! নাই। হঠাৎ.... আনমনে দৃষ্টি গেল আমার হৃদয় আঙ্গিনায়   দেখি তুমি হাসতেছ সেথা, বসে নিরালায়! বললে পাগল!"আপনার মাঝে রেখে আমায়,    খুঁজতেছ কেন হন্য হয়...

আবেদন

★আকুল আবেদন★                মুহাম্মদ সৈয়দুল হক          দুঃখ ব্যথা দিল যারা তাদের দিলাম ক্ষমা তাদের ত্বরে এই অন্তরে নেই কোন ক্ষোভ জমা। যারা আমার অন্ন মেরে খেল পেঠ ফুলিয়ে তারা যেন হয় গো তুষ্ট অন্যে আহার দিয়ে। দিবানিশি নিন্দাতে মোর ঘুম যাদের হারাম তারা আমার অতি প্রিয় তাদের ত্বরে সালাম। ভুল কি আমার? জানতে পারি তাদের কারণে শুধরাবার যে সুযোগ হয় তাদের নিন্দনে। আমি যাদের আঘাত দিলাম,প্রতিঘাত পেতে রাজি ক্ষমা যদি না যায় করা,প্রতিশোধ নাও আজি। কথা দিলাম, ইচ্ছে ভরে দিতে পার দন্ড হয় যদিও বা আমার জীবন এখানেই পন্ড। স্বর্গ নর্কের ভয় নেই আমার, ভয় যে বড় মনে মানুষেরে যেন কষ্ট না দিই, কোন কাল কোন ক্ষনে। মনকষ্টের অভিশাপ থেকে দোযখের আগুন শ্রেয় ঐ আগুনে জ্বলতে রাজি,তবু শাপ তুলে নিয়ো। কাবা ভেঙ্গ ইচ্ছে হলে, মন ভেঙ্গ না কারো এই মন যে কাবা-আরশ হতে অধিক পবিত্র!

জে যাও মদিনায়

★ কে যাও তোমরা মদিনায়★                 →মুহাম্মদ সৈয়দুল হক← কে যাও তোমরা মদিনায় আমার নবীর রওজায়  আমার ত্বরে একটি সালাম দিও নবী মোস্তফায়। তোমরা সবে হজ্ব করিবে, নেকির পাল্লা ভারি হবে  আমি যে অধম গরীব, লোভ নাই আমার এ সবে      লোভ আমার করে শুধু দেখতে মদিনায়।। হবে কি আর বামুন হয়ে চাঁদের গায়ে হাত বাড়িয়ে  ইচ্ছে যে বড়ই আমার সালাম দেব রওজায় গিয়ে      পুরিবেরে মনবাঞ্চা দিলে সালাম পৌঁছায়।। আরবের ঐ মরুর বুকে চলতেন নবী দিকবেদিকে  সেই প্রান্থরের মাটি দেখবে তোমরা আপন চোখে       শুঁকিতে সেই মাটির ঘ্রান বড়ই মন চায়।। কাবা ঘরে তাওয়াফ শেষে যাবে যখন নবীর দেশে  সালাম দিবে তোমরা আমার নবীর রওজায় বসে        সেই সময় নামটি আমার দিও শোনায়।। জমা রাখলাম সিন্ধু ভরে, নবীর ত্বরে এই অন্তরে  সৈয়দুল হকের মনব্যথা বলব কখন ইচ্ছে ভরে         শুধিও কখন নিবে ঐ দেশে আমায়।।

আমার দেশের চাষা

★আমার দেশের চাষি★          →মুহাম্মদ সৈয়দুল হক← চক্ষু মেলে ধানের ক্ষেতে ভাবছি চমৎকার    আজব এ শিল্পকর্মের হয় কি পুরস্কার? ধান রুপনে ঐ চাষিদের বিশেষ নিয়ম আছে মাইকেল বাবুর পঙ্ক্তির মত সনেট কাব্য রচে। ফসল মাঠের প্রতি সারির গোছা সংখ্যা সমান লাইনের পরে লাইন সাজানো, সমান ব্যবধান। করে তারা পদে পদে ঠাকুর দাদার অনুস্বরণ ধানি জমির সবটা জুড়ে সহজ সারির সন্যিবেষন।  কবি গুরু ‘‘সোনার বাংলা’’ লিখেন গল্প রূপে    বাস্তব রূপে গড়ে চাষি আপন শ্রম সপে। গভীর লেখার সম্রাট কাজি নজরুল ইসলাম চাষি মনের গভীরতায় সেও করবে প্রণাম। সুয্যি মামার প্রখর তাপেও দৃঢ় তাদের মনোবল    সংকল্প যে একটাই’ ফলা সোনার ফসল। বাদল দিনে ছাতা বিনে করে মাঠে হালচাষ তাদের মনে এত জোর, জোরটা যেন কৃতদাস। সত্যেন্দ্রনাথ এক সময়ে ছিলেন ছন্দ জাদুকর আমার দেশের চাষিরা ভাই মূলে উহার রূপকার। ছন্দময় সে সু-সজ্জিত ধান গাছের ঐ সমাহার নাথ সাহেবের ছন্দ থেকে বেশ তো দেখি চমৎকার। পল্লী কবি রচে গেলেন পল্লী প্রেমের সু-সমা নিত্য চাষি যাহা রচে তার কে দেবে উপমা। রূপকারদের সারির মাঝে দেখি এদের হাজার বার ভাবছিরে ...

হে নারী

★হে নারী★           -মুহাম্মদ সৈয়দুল হক হে নারী!  তুমি মা! তুমি গর্ভ ধারিণী তুমি কুল মাখলুকাতের শিরমণি। তুমি মহান, তুমি জনম দুঃখিনী তোমার পায়ে লুকায়িত ঐ জান্নাত খানি। হে নারী! তুমি মা আয়েশা, তুমি রাবেয়া বসরি তুমি আছিয়া, তুমি ফাতেমা জননী। তুমি মরিয়ম, তুমি খাতিজাতুল ক্বোবরা তুমি উম্মুল খায়ের, তুমি প্রথম শহীদ সোমাইয়া! তোমার ত্বরেই টিকে আছে এ ধরণী। হে নারী!  তোমার মূল্য হীরার চেয়ে দামি তুমি অসিমে সীমাহীন উচ্ছতায় গামী। তোমার নিকট বসিভূত সুন্দর এ ভুমি উচ্চতায় হিমালয়ের চেয়ে সু-উচ্চ তুমি! হে নারী! তুমি মা আমেনা!  তোমার গর্ভে এসেছিলেন দয়াল নবি! তুমি জনম দাও হাজার কোটি কবি। পীর আউলিয়া দরবেশ পৃথিবীর যত রবি বিজ্ঞানী সাহিত্যিক গবেষক মহামানবরা সবি তুমি বিনে দেখতো না কেউ এ পৃথিবীর ছবি। তবে কেন? তোমার কারণে- রাহাজানি, হয়রানি, মারমারি, নোংরামি কেন এত জগন্যতা, কেন বদনামি?      ভুলে আদর্শ হয়েছ বিপদগামী               ছেড়ে পর্দা হচ্ছো জাহান্নামী! অশ্লিলতার জোয়ারে বইয়ে দিচ্ছো পাপের সুনামী। জানো কি?  তোমারঐ অশ্লিলতা...

রেলগাড়ি

*জীবন নামের রেল গাড়ি*      __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ছুটছে তো ছুটছে একা        জীবন নামের রেল গাড়িটা               ছুটে চলছে অচেনা রাস্তায়, ঘুরছে তো যেন পাখা        রেল গাড়ির ঐ যে চাকা              ঘুরে চলছে তাকে কে থামায়। বিরামহীন রেলের গতি            ছুটছে সে দ্রুত অতি                 মাঝে মাঝে একটু থামতে চাই নয়া কত যাত্রি উঠে          কেউ আবার নেমে টুটে                কেওবা শেষ ষ্টেশনের অপেক্ষায়। সেই গাড়ির ড্রাইবার আমি          উদ্দেশ্যহীন এক পথগামী                 যেমন ইচ্ছা তেমন ই চালায় কভু আসে ঝড় আর তুফান          কভু আবার হয় সব ম্লান                   থামিনা আমি কোন বাধায়। একদিন জানি হবে পথ শেষ ...

আত্মপ্রচার

আত্নপ্রচার                 --মুহাম্মদ সৈয়দুল হক পাচ্ছে অনেক বাহবা দেখ       করছে অনেক দেশসেবা কে বলিবে হায়রে আর        আত্নপ্রচার নিজসেবা! রক্ত দিল হসপিটালে         ফেইসবুকে তা স্ট্যাটাস রক্ত দেওয়া মহৎ কাজ           প্রচারে যার সর্বনাস! ত্রান বিতরন সহায়হীনে            ঘুচানো শোক সুখহীনে জনসেবা জনগণে            নিন্দিত তা প্রচারনে! পূণ্যের ত্বরে গভির রাতে           ‘উঠলাম আমি তাহাজ্জুতে’ সেল্পি সমেত নামাজেতে           পোষ্ট মারিলাম ফেইসবুকেতে! অলি-আল্লার তথ্য সত্য          হতে মাওলার অনুগত্য মশগুল সদা গহীন বনে            ইবাদতে মাওলার ধ্যানে! গরুর মূল্য কয়েক লক্ষ          দেখুক মানুষ আমার শান সবার চেয়ে অধিক আমি        সেরা আমার কোরবান! আগের কাল খাইছে বাগে   ...

বিরহের অনল

*বিরহের অনল*                      _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক বিরহের অনলে পুড়ে যে হৃদয় হয়েছে ছাই    চন্দ্রের চেয়ে অধিক উজ্জ্বলে জ্বলিছে তাই। যত পোড়াও তত খাটিই হবে সে যে সোনা     নিঃশেষ হবার নয় সে, নয় তো বালি কণা! পৃথিবীর আদি অন্থে, যত মহামানব দুর দুরান্থে     পুড়েছে সকলে’ অ সে অনলে, সাধের এ প্রান্থে। ‘সখি ভালবাসা কারে কয়,          সে কি কেবল যাতনা ময়?’                ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি                        সে কি মোর অপরাধ?’         মন মাঝি তোর বৈটা নে রে,                   আমি আর বইতে পারলাম না!!!!!!!!! কত বিচিত্র চিত্রে সে পোড়ার কথা পড়েছি     কত প্রান্থহীন প্রান্থরে সে সুর শুনেছি তবু পাইনি কো কোন গন্ধ,দেখিনি কোন ধোঁয়া   পেয়েছি শুধুই মহাত্নার মহা বন্ধন, মহা মায়া! দেখেছি জ্বলজ্বল করে জ্বলতে,   ...

ফোরাতেন ক্রন্দনরোল

ফোরাতের ক্রন্দনরোল                           মুহাম্মদ সৈয়দুল হক মোহররম! বেদনা ভরা বাণী নিয়ে তোমার আগমন সত্যের জয় আর মিথ্যার পরাজয়ে তোমারি গঠন। কানে বাজে ঐ ফোরাত তীরের ক্রন্দন রোল আসগর সমেত হোসাইন যেথায় কেঁদেছিল নির্ভুল! হাঁকে হোসাইন, ‘‘ধর্ম বর্ণ গোত্র ছাড়ি শুধু মনুষ্যত্বের আহ্বান কোলের শিশু মরলে হবে সব জাতির অপমান                                   দাওনা তোমরা তাই, শত্রুতা সব আমার সঙ্গে আসগর সেথা নাই। মোর ত্বরে নহে, নহে মোর পুত্রের ত্বরে      এ শুধু এক ছোট্ট শিশুর জীবন বাচার ত্বরে দাওনা ওহে একটু বারি, মাগি তব ধারে।’’ পোড়া কপাল কিন্তু হায়! শান্তির বানী কি আর পৌঁছে এজিদি কলিজায়?                                      পানি চাও?  তবে নাও দিতেছি লুটে যদি তা পাও! ভুলিল তাহারা মানবতা যত ছিল এই দুনিয়ায় বারির বদলে তীর মিলিল হোসাইনের বাদশা...

মনের মাঝে

প্রাণপ্রিয় সকল সুন্নি জনতার প্রতি উৎসর্গ___            ★মনের মাঝে তপ্ত ব্যথা★                     মুহাম্মদ সৈয়দুল হক মনের মাঝে তপ্ত ব্যথা চোখের কোনে জল     গহীন ফাটল সুন্নিয়তে আর কতদিন বল? কাউকে বলি কাফের ভন্ড, কাউকে দালাল      কাউকে বলি ফতোয়াবাজ, কাউকে আবাল! দারুন একটা গল্প বলি, একটু খানি শুনো       ভুল হলে শুধরে দিও, সঠিক হলে মানো। ‘‘এক বনে এক মহিষ পালের বিবাদের কাহিণী       দু-দলে বিভক্ত হয়ে, সে কি কানাকানি! এক দল অপর দলকে দেখে মারতে আসে তেড়ে    অপর দলের গালমন্ধতে মনের ক্ষোভ ঝাড়ে। এভাবে তা চলছিল বেশ রেশারেশির মেলা       মাঝে মধ্যেই বেঁধে বসতো উঠকো ঝামেলা। এই না দেখে হিংস্র বাঘে সুযোগ খুঁজে বেড়ায়   ঝোঁক বুঝে তাই খোপ মারে,পালে হামলা চালায়। দিনে দিনে মহিষ সংখ্যা কমতে থাকে বেশ    মহিষ পালে ব্যাঘ্র দালাল বাড়ায় ঝগড়ার রেশ। এভাবে তা চলতে থাকে, বাড়তে থাকে ক্ষত       সবটায় গেল বাঘের পেটে মহিষ ছিল যত! তাইনা ...

রাত

★★★রাত★★★                    মুহাম্মদ সৈয়দুল হক তুমি কি জানো? রাত মানে কি? ছটপট উত্তরিবে হয় তো, রাত মানে ঘুমন্তপুর! যেখানে এসে বাধা পড়ে যত কন্ঠ, শত সুর! বলতে পারো আরো! রাত মানে চিরশান্তি যেখানে এসে থেমে যায় যত কষ্ট, শত ক্লান্তি। অথবা, রাত মানে স্বপনের ভেলা! নানা রঙ্গের স্বপ্ন এসে করে যায় খেলা। রাত মানে অবসর! ঘুমিয়ে পড়া নিখিল জগৎ, নিস্তব্ধ চরাচর। রাত মানে শান্ত আত্মা! দিবসের যত অশান্তি, সব ভুলে থাকার পন্থা। রাত মানে বনফুল! ঝেড়ে ফেলা সব ভ্রান্তি, সাথে যত ভুল। না না না! এসব কিছুই না! রাত মানে মম চোখে সমুদ্র সম কান্না। রাত মানে কালো পথ! স্তরে স্তরে তার কতই না আপদ। রাত মানে নির্ঘুম চক্ষু! ঘুমন্ত পৃথিবীর লোকালয়হীন কক্ষ। রাত মানে জেগে থাকা! ভাবনার জগতে ডুব দিয়ে বেদনা ঢাকা। আমার রাত অন্য রকম তোমার মত রোমাঞ্চ নাই, নাই তাতে তৃপ্তি পরম! রাত মানে ঐ চাঁদ! কথা বলি তার সাথে হয়ে উন্মাদ। রাত মানে ছটপট! বিছনায় শুয়ে এপাস ওপাস করা কটমট। রাত মানে অপেক্ষা! কালোত্বের বিনাস কামনায় ভোরের প্রতিক্ষা। তোমার রাত আমাত রাত ভিন্ন সংজ্ঞার, সহস্র তফাৎ! তোমার ত্বরে রাত না...

গমণে-বিদৃুরনে

কামলি ওয়ালার শুভাগমন নিয়ে লেখা কবিতাটি পড়তে মিস করবেন না।    ★★★গমনে-বিদূরনে★★★ _______মুহাম্মদ সৈয়দুল হক চাঁদ উঠেছে মাশরেকে ঐ, আঁধার দুনিয়ায় ও তোরা, দেখবি যদি খোদার জ্যোতি আয়রে ছুটে আয়। দেখরে ওরে পাগলা পাখি, স্নিগ্ধ দুটি আঁখি খুলি শেরকত জুলমত দাফিল আজি, ঐ আরবের বুলবুলি। ওরে আয়, তোরা আয়! দেখে যা ঐ মরু কানন, হাসে যেথা মরু দুলাল খেলে যেথা বিশ্ব রহমত, দোলে হেথা নুরি হেলাল। যা দেখে যা ঐ সে তারা, প্রেমে যার সবে আত্নহারা নিখিল ধরনী চিত্ত বিভোর, লভিতে ও সে প্রেম পোয়ারা। দে’রে নারা, জাগে সাড়া, ও সে আসলো বুঝি ঐ কোথা গেলি তোরা, জোয়ান আর বুড়া, প্রেম সকাসু কই? নারায়ে রেসালাত, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ আসিছে ঐ যে খোদার নুর, ‘নু-রুল্লাহ্’ ও তোরা জ্বয়ধ্বনী কর, তোরা সব জসনে জুলুছ কর আসলো যে ঐ তোদের ত্বরে খোদা তায়ালার বর!!!

গর্বিত-লজ্জিত

মহান বিজয় দিবসের উপহার! পড়ে দেখুন, তৃপ্তি শতভাগ নিশ্চিত...! ★★★গর্বিত মোরা লজ্জিত★★★              ♥মুহাম্মদ সৈয়দুল হক♥ _______________১_______________ মোরা পেয়েছি স্বাধীনতাকে, মোরা গর্বিত  মোরা লভেছি বিজয়কে, মোরা গর্বিত। মোদের প্রিয় গীত ‘আমার সোনার বাংলা’    ‘চল্ চল্ চল্’ মোদের জয়ী কাফেলা মোরা বুক চিড়ে রক্ত দিতে করি না’কো ভয়  মোদের বিজয় চির অভয়-অক্ষয়, চির বিস্ময়! মোরা করি না’কো পরোয়া, হোক না নেতা সরোয়া বেপরোয়া চরম লা-পরোয়া, স্বাধীনতাটাই মোদের চাওয়া। অজস্র মহিয়সির সহস্র নারিত্ব নষ্ট করেয়েছে,                                             পঁচন ধরিয়েছে। তবু, যায় নি কো দলে, বিষের ঐ ছোবলে      কভূ, লুকায়ে রহিনি কো অন্যায়ের আড়ালে। বের হয়েছি রাজপথে, অস্ত্রহাতে দামান ছেলে      গেলে যাক, ধড়-প্রণ-শির যাক না চলে! ঝরেছে অনেক ঝর ঝর ঝর রক্তমালা       তবু ভেঙ্গেছি, উপড়ে ফেলেছি বন্ধিশালা। এসেছে...

প্রেম কী?

♥♥♥প্রেম কী?♥♥♥      ♣মুহাম্মদ সৈয়দুল হক♣ প্রেম কী? বুঝিনা, জানিনা, বৃথা খোঁজে মরি চিনিনা, অজানা, কোথা তার বাড়ি! বেলা কি অবেলা, আজব এক সুরেলা                 বাঝে মোর কর্ণে চিক চিক রোদেলা, কখনো বা সুজলা                 সাজে নানা বর্ণে! হুট করে এসে পরে, মন মাঝে উঁকি মারে                   দেয় না ঘন্টা চট করে মম নিড়ে, দফাদফ গান ছাড়ে                   সয় না মনটা। নাই কথা নাই শিস, ডাকে তবু পিছ পিছ                খুঁজে তবে পাই না হায় এ কি চাই মন, করে শুধু চন চন                সাথে নানা বায়না। বেখেয়ালি এ হৃদয়, অখেয়ালে পড়ে রয়                ঘটে যায় কত কি স্বয়নে আর স্বপনে, হৃদয়ের এই গুঞ্জনে                দেয় নানা সু-উঁকি! কেউ ভাবে নর-নারী, হলে একি আঁড়াআঁড়...

ছেলেবেলা

★*★ছেলেবেলা★*★ ______মুহাম্মদ সৈয়দুল হক চল দোস্ত- খেলতে যায় মামা বাড়ির মাঠে খেলার সময় খেলতে মজা, মন কি বসে পাঠে? নারে দোস্ত- যা একা তুই মা বকবে আমায় ধরা খেলে সোজা জেলে, আর যে জামিন নাই। ওরে ছাগল, শোন না পাগল, কেমনে খাবি ধরা একটু পরে আন্টি যাবে, ওই যে উত্তর পাড়া। আজকে যদি জিততে পারি পাব অনেক টাকা সে টাকাতে বল কিনেরে মারতে পাব ছক্কা। চলনা ওরে আলসে মোটো, হলদে দিঘির পাড়ে পুর্ব পাড়ার ছেলেরা তাই ঢাং মারিছে জুরে। পাড়ার যত দুষ্টু ছেলে দুষ্টুমিতে মেতে খেলব সেথা ঢাংগুলিটি সবাই একিসাথে। ঐ দেখ, সব বেটারা বড় বিলের চড়ে খেলছে সেথা মারবেলটি আমাদেরকে ছেড়ে। দুইয়ে মিলে ‘ভাই খেলা’তে হারিয়ে দেব ওদের বুঝবে তখন আচ্ছা করে টক্কা খেলা মোদের। লাটিম খেলার লাটিমঘিরি মোর’চে বেশি কার আমায় হারায় লাটিম খেলায় সাধ্যি আছে কার? প্রথম মারে ফাটলে লাটিম, দেখতাম সেটা মোর চাপাবাজির চাপার জোরটা গড়াতনা দূর! ক্লান্ত দুপুর, শান্ত পুকুর, অশান্ত যে মোরা সবাই মিলে পুকুর জলে সব করিতাম সারা। নারকেল গাছের ঢালটি ধরে দোলন খেলার মজা কে বুঝিবে না দোলিলে দোলন কেমন সোজা। এ বাড়ি আর ও বাড়িতে দিন কাটিত বেশ সন্ধা বেলা বকার জ্বালা, মা করিত শেষ। রা...

স্মৃতির হাঁড়ি

★স্মৃতির হাঁড়ি★     মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~ চাতক চিনো, চাতক পাখি? আকাশ পানে যার দু-আঁখি সাগর পাড়ে বসেও সে যে বাদল পানে মারে উঁকি। মেঘ ঝাপিয়ে ঐ দু-ফোটা বৃষ্টি নামের মিষ্টি রাশি মিটায় তারি তৃষ্ণা কাতর অন্য সবে সর্বনাশি। নীল দরিয়া দিলেও মুখে ছুঁবে না সে খাবেনা তা কিন্তু যখন বর্ষে বারি মন জুড়িয়ে পানিবে তা। চাতক আমি চাতক পাখি তোমার প্রেমে অন্ধ আঁখি চেয়ে থাকতো ঐ সে পথে যে পথ দিয়ে আসতে ‘সখী’। পলকহীনে থাকতাম চেয়ে ঝলক তোমার কখন আসে চোখ জোড়া যে দেখতনা আর কে কি কোথায় আশে-পাশে। অবশেষে চকমকিয়ে ঝড়তো বারি হৃদয় শিবে দেখতাম যখন চাঁদ মুখটা তৃষ্ণা-আগুন যেতো নিভে। দেখছো কভু রংধনুটা? প্রতিবারই নতুন লাগে কিন্তু সে যে একই রূপের নব্য বলে মনে জাগে। সপ্ত রঙ্গের সেই সেতারা হাজারো বার এলো গেলো দেখতে তবু চাই যে সবে আসমানে জব উদয় হলো! তুমি যে সেই রংধনু রঙ যতবারই দেখতাম তোমায় নতুন করে খুঁজে পেতাম নতুন এক অন্য তোমায়। মেঘ সরিয়ে সূর্য রশ্মি এক ঝলকের ঝলকানিটি সকল আঁধার দেয় যে টুটে মেঘলা ধামের হয় যে ছুটি। হাসি যে তোর সূর্য কিরণ মিস করি তা আজো ভিষন সেই হাসিতেই দূর বহুদূর যেত মনের দুঃখ কেতন।   ...

চাষির জবাব

♥চাষির জওয়াব♥ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~ ★চাষিকে প্রশ্ন- কোন গ্রন্থে শিখলেরে ভাই কোন ইতিহাস থেকে রচলে একি আজব খামার গায়ে কাদা মেখে! কোন কিস্সা পড়ে তোমরা এমন সাহস পেলে কি বা এমন মনের বলে বিল সাজিয়ে দিলে? কাদার বিলে সোনার ফসল কেমনে এঁকে দিলে কোন খাটুনি আছে বাঁকি দাওনা একটু বলে। রোদের তাপে অঙ্গ জ্বেলে করতে ওসব চাষ কোন সাধনায় আনলে তুমি হৃদয় জলোচ্ছ্বাস? সেই সকালে মরুর বিলে কেমনে নেমে পড় দুপুর গিয়ে সন্ধ্যা হলে তবেই বাড়ি ফির! এসব তোমার পেটের পুঁজায় নাকি পরিবারের? কোন টানেতে খাটা-খাটনি নাকি সেটা মোদের? কোন লাভেতে কর এসব পাও কিরে ভাই ‘মান’ কোন পুরষ্কার পাওগো তোমরা তুলে ঘরে ধান? ★চাষির জওয়াব- কেবা তুমি জানিনে তো কোন সে পাড়ার কবি মোদের এসব নোংরা কাজের কেউ কি তুলে ছবি! জানতে তুমি চাইলে যখন বলছি তবে শোন পড়িনি কো গ্রন্থ কেতাব লাভ নাই এতে কোন। সাহস সে কি জানিনে তো পেতে হয় কি সেটা? বুকের জোরের সেকি কথা বাপ-কা মোরা বেটা! সাধন বজন অত কিছু মাথার পরে নাই দু’দিন পরে মরলেরে ভাই ওসব কাজে নাই। অঙ্গেরি ধার ধারলে মোরা ফসল কিবা উঠে? অঙ্গ দিয়ে কি হবে আর ফসল গেলে টুটে। ঘর বাড়ি আর বিলের কাদা দুটাই একি লাগে...

স্বাগতম

♥স্বাগতম♥ _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~ স্বাগতম হে বীর ফেরারি স্বাগতম আপনায় কেমন করে কাটলো সেদিন শুধি দু-জনায়? যেদিন দু’জন গেলেন চলে খানায়ে কাবা’য় কেমন ছিল খোদার সে ঘর কোন সে উপমায়? চুমিতে কি পেরেছিলেন হাজরে আসওয়াদ নবির হাতে স্থাপিত- কেমন তারি স্বাদ? জমজমের ঐ অতূল সুধা পান করেছেন কবে সে নুরানী জলরাশিটির পানি কেমন তবে? পরিচিত যখন হল আরাফা’র ময়দান অনুভব কি হয়েছিল নুর নবীজির টান? যেদিন গেলেন কা’বা ছাড়ি কা’বা-কা কা’বায় অনুভূতির কোন ছোঁয়াটি লাগলো মন-কা’বায়? দু-চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো কিরে তা’ই মায়ার নবির মায়ার মাজার সোনার মদিনায়? দেখতে কেমন ছিলোরে তা সোনালি জালি অঙ্গে কিরে মেখেছিলেন নুরানী ধুলি? রূপ-মনোহর কেমনে ছিল সবুজ গোম্ভিদের দূর দেশ হতে যেমন দেখি তার ছে কিবা ঢের? রিয়াজুল জান্নাহ্ হতে জান্নাতি বর পেয়ে আর কোথায় কি ছুটেছিলেন প্রেমে পাগল হয়ে? নুরি নবির নুরি দরগায় সালাম খানি মোর পৌঁছে কিবা দিয়েছিলেন এ অভাগার সুর? আহলান-ছাহলান জানায় হে বীর ফেরারি আবার যেন হয়গো ভ্রমণ নুর নবীজির বাড়ি।

কৃষানি

→কৃষানি _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~ এই ওঠো তনুর বাবা ওঠো তাড়াতাড়ি বেলা দেখো মাথার উপর ওঠো তাড়াতাড়ি ওঠো, ওঠো, ওঠো বিলের দিখে ছোটো...... এত বেলা ঘুমালে হয়, বিলে যাবে কবে? উঠে দেখো এতক্ষনে চলে গেছে সবে। দেখো দেখো দেখো ঐ যে দূরের সাঁকো...... রিনির বাবা ঝিনির বাবা ময়নার বাবাও নেই তুমিই খালি পড়ে আছো জন্মের আলসেই। নেই নেই নেই তোমার মত আলসে নেই.... ‘‘উঠছি বাবা উঠছি শুধুই চেঁচামেচি আজ অত কাম নেই তাইতো ঘুমোচ্ছি’’। ঘুমাও ঘুমাও আরো ঘুমাও ঢের কিছু কি পারো অনেক কষ্টে তুলছি তোমায় ফের ঘুমিয়ে পড়ো। ঘুমাও ঘুমাও ঘুমাও ইচ্ছে মতো ঘুমাও.......... ‘‘হাত-মুখ তো ধোয়াই হলো চা কি এবার দেবে তাড়াতাড়ি করো একটু দেরি হয়ে যাবে’’। এই নাও, চা খাও সাথে পিঠাপুলি সারাদিন তো বিলেই খাটো সুবাহ্ ছে গোধুলি। খাও খাও খাও পেট পুরিয়ে নাও....... পুটলিটা বাঁধায় আছে নিয়ে যেও সাথে দুপুর বেলা তনু যাবে খাবার নিয়ে মাঠে। যাও যাও যাও আসতে- এনো লাউ....... সকাল গিয়ে দুপুর হলো ডাকে তনুর মা- এইরে তনু কোথায় গেলি যারে বিলে যা। যা যা যা ভাত নিয়ে বিলে যা....... এ’কাজ সে’কাজ ঢেঁকির উপর গেল কৃষানির দিন সন্ধ্যা বেলা অপেক্ষাতে রিনঝিন রিনঝিন। ওই ওই...

তেতুল মিয়া

★তেঁতুঁল মিঁয়াঁ★ ___মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~ এই যুগত মানুষ চিনন দায় ভাইরে- এই যুগত মানুষ চিনন দায় চোরাইয়া চুরি গরি ‘আমির’ বনি যায় ভাইরে.............. অফিসারর পোশাক পরি   সরকারি গাছ গরে চুরি জনগনর টিঁয়া মারি আরামে ঘুম যায় ভাইরে.............. মিচে হতা মাইনষুর সভাব   আল্লাত্তুন কিয়ুর অভাব? হন আক্কলে দোষকান দিলি আল্লার উত চাবায় ভাইরে............... আরা জীবন নাস্তিক বলি    পথে ঘাঁটে দিলি গালি হন হারনে আস্তিক অইলো হ-নারে বুঝায় ভাইরে................ টিঁয়া পাইলি বিয়াগ্গিন জায়েজ      টিঁয়া ছাড়া না-জায়েজ মিলাদুন্নবি, ওরস-ফাতিহা খুঁজিতো ন পায় ভাইরে................. বুড়ো বেডার এত হায়েস     আরো হত আছে আয়েশ মাইয়ে দেইলি লালা ঝরে তেতুলুন্নান চাবায় ভাইরে.................. রেল’র জমি, সরগারি মাল     খায় বেড়া টাল-মাতাল শুদ্ধ ভাষাত হইত ন পারে, চিটাংগেত গু খায় ভাইরে.................... সাত জন লাগে আলগাইতো     পাঁচজনে নে হাগাইতো খতিবগিরি গরিবেল্লাই তবু হাইশ ন যায় ভাইরে..................... এক টেং গেইয়্যি কবরত      নো আইয়...

প্রেমবাজার

গাউছুল আযম মাইজভান্ডারির কদম মোবারকে উৎসর্গ--- ♥প্রেমবাজার♥ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~ কেউ দেখে শিরক আবার কেই দেখে বিদয়াত কেউবা বলে ভন্ডামি আর কেউ বলে ইবাদাত। কেউবা করে হাসি ঠাট্টা কেউবা আবার মশকরা কারো চোখে ঈর্ষার আগুন অপবাদ দেয় মনগড়া। হক্ব না-হক্বের চিন্তাদ্বারা বেহক্ব লোকের মুণ্ডুতে দিন দুপুরে দেয় ফতোয়া শিরক-বেদাত একসাথে। কার চোখে কি দেখো ওরে মাথায় কার বা আসে কি? আমি দেখি প্রেমের বাজার প্রেম সকাসু আছে কি? প্রেমের চোখে প্রেম দেখিবে আন্ধা চোখে শিরক পেঁচার চোখে দিন দুপুরে দেখে কি আর সড়ক? খোদার ফজল বুঝা সরল প্রেম থাকিলে মনে দেখবিরে তুই, তোর ভবিষ্যত আপন দু-নয়নে। ভান্ডারি তো ভন্ডামি নয় ভান্ডার খানা বটে যাহাই চাইবি পাবি হেথা চাইলে অকপটে। আহমদিয়া নাম ধরিয়া মাঙলে ভিক্ষা তবে দিন-দুনিয়া ব্রহ্মান্ডের তুর’ই হবে সবে। চাইতে জানলে পাবিরে তুই গুপ্তধন আর প্রিয়রে কোন সে প্রিয়, চিনতে হবে অভাগা অ পাগলারে। না বুঝে তুই আর কতকাল বইয়ের পাতা উল্টাবি? কিতাব দাতা থাকতেরে তোর কিতাব পড়ে লাভটা কি? যে দিলরে গ্রন্থ তোরে দোষ খুজিস তার গ্রন্থতেই! গ্রন্থদাতার চেয়ে কিবা গ্রন্থখানা হয় শ্রেয়? আমি হলাম গোলাম তাঁ...

ওগো মা

★ওগো মা★ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ওগো মা- তুমি দিয়াছ গো মোরে পুরো এক পৃথিবী বল না মা! তোমারে আমি দিব কী? তুমি দেখিয়েছ মোরে অদেখা যত ছিল অকর্মা এ ছাওয়াল তোমাকেই বা কি দিল? একদা আমি হাঁটিতে জানিতাম না    মুখ ফোটে ঠোট নেড়ে বলিতে পারিতাম না অতপরঃ   তুমি শেখালে তা      জানিতাম না আমি যা ধিরে ধিরে ডাঙ্গর হলাম       কত কি বা চিনে নিলাম             তবু আমি চিনিনিকো আজো তোমায়    ক্ষমা করো মা! ক্ষমা কর আমায়। কেমনেই বা চিনিব?     সে সুযোগ পেলাম কই?           বুঝিনি তো সে অভাব                 বুঝার সুযোগ দিলে কই?  যা চাই, তাই যদি পাই, তবে আর বুঝব কী? তুমি বিনে, একা নির্জনে, আমি কভূ গিয়েছি কী? আলো কভূ বুঝে কি সে, সূর্য তারি মূল?      ডেউ কি বা জানে সে যে, সাগর জলের ফুল? জ্যোৎস্না থাকে চাঁদের সাথে            চাঁদকে কভূ জিগায় কী?             ...

উপলব্ধি

★উপলব্ধি★ _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~ শত পাপে পাপী আমি  বৃথা খোঁজি তব দোষ জ্ঞান গরিমার অবক্ষয়ে বাড়ে মনের আক্রোশ। ধর্ম-কর্ম কিছুই যে নাই গলাবাজির অন্তরায় উপর নিচু করি সমান দু-চোয়ালের জোর চাপায়। বৃথা গঞ্জি বৎস তোমায় দোষের পাহাড় মোর কাঁধে আপন দোষটি ঢাকার ত্বরে ফেলি তোমায় দোষফাঁদে। সালাত-যাকাত, সাওম-জিহাদ শক্তি থেকেও করি না বৃথা জীবন, বৃথা এ ধন সব যে মুলে বঞ্চনা! ঘুরছে গরিব আমারো দ্বারে প্রতিবেশি সে কেঁদেই মরে আহারাদি তার নাইযে ঘরে দেখেও আমি দেখিনা তারে। মাথার উপর পাপের পাহাড় দিল দরিয়া পূণ্য উজাড় সিন্ধু ভরা অহমিকায় ছল চাতুরি অতি প্রগাঢ়। মুলে আমি মুখোশ ধারি সৎলোকের মুখোশ পড়ি অসৎকাজের সহায়তা করি আমি ইচ্ছে ভরি। আমার খ্যাতি দেখুক লোকে যশের ধ্বনি উঠুক মুখে এই থাকে মোর চাওয়া পাওয়ায় রকেট বেগে আমিত্ব ছোটে। আমি, আমি, আমি করে গেল জীবন বৃথা ঘুরে তবুও যে আমি’র কেতন শেষ হলো না এ সংসারে!

সেনানী আহ্বান

★সেনানী আহ্বান★ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~ শুনছিরে ভাই নতুন ধ্বনী কাঙ্ক্ষা সবার মনে এগিয়ে যাবে ছাত্রসেনা নব্য আগমনে। বহুপথ হলো পাড়ি দেওয়া সামনে বহু বাকি ঘুম বাবুকে জাগিয়ে তোল খোল বন্ধ আঁখি। পদের আপদ বড় বিপদ যোগ্য নাহি হলে অগ্রগতির গতিবৃদ্ধি সুগম নাহি হলে। পদ-আমানত রক্ষা করা সহজ অতি নয় নেতার নীতি- শুধু যেন কর্মনীতি হয়। পদলোভি, সুবিধাভোগী নেতৃত্ব পেলে ঐতিহ্য-সংগ্রাম যত যাবে গঙ্গা জলে। ‘দায়িত্ব’ কাঁদে সওয়ার হওয়া খোদার নেয়ামত রক্ষিও ভাই সরল মনে নবীর আমানত। দশজনের বাহবা, সাথে গলে ফুলের মালা এটাই যেন না করে তোর মনকে উজ্বালা। কর্ম হোকরে নেতার ধর্ম আদর্শ রাসূলের রুদ্ধ-ময়দান গর্জে উঠোক গানে সুন্নীয়তের। যাক এগিয়ে প্রিয় দলটি যোগ্য নেতার গুণে নীতির পুঁজার নেতা যেন পাইগো রণাঙ্গনে।

আকুতি

♥আকুতি♥ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ দয়াল আর কতকাল রইব বল  তোমার অপেক্ষায় আমার দিন যায় ওরে তোমার ত্বরে  ভেবে নিরালায়।           কেন জানি পিছু ডাকো থেকে নিরবে           কবে তুমি ডাকবে বল এসে স্বরবে? (আমি)  বিচ্ছেদ জ্বালা সইতে নারি                         ছেদ- চিহ্নটা নাহি যায়। (ঐ)           শূন্যজ্ঞানে করবো কিরে তোমার কীর্তনা           নিয়ম কানুন না জেনেই কি হয়রে সাধনা? (আমি)  খালি হাতে যায় দরবারে                         পূর্ণ নাহি হলো হায়।    (ঐ)           প্রেমে কিরে আছে ত্রুটি বলো না আমায়           হৃদয় খানি ছিড়ে দিতাম চাইলেরে ও সাঁই (আমি)  না জানি প্রেমের রীতি-নীতি                          তবু প্রেমে জ্বল...

ভ্যালেন্টাইন

মহান ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র অগ্রিম উপহার! ★আমি কিছু লিখতে চাই★ ___মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~ আমি কিছু লিখতে চাই..... প্রেমিক-প্রেমিকাদের উদ্দেশ্যে দু দন্ড বলতে চাই..... শোনার আছে কী কেউ?  কানে তুলবে কী অলেখকের ঘেউ ঘেউ? আছে কী ভাই?  তোমাদের মাঝে আছে কী এমন কেউ?  যার ভেতর-বাহিরে বয়ে যাচ্ছে আজি প্রেম-সাগরের মহা ডেউ! বুকের ধুপধুপানী বেড়ে কী  কয়েক সহস্রে নিয়েছে রূপ? তোমার ত্বরে অপেক্ষা কিসের? দালান-লোকালয় নাকি ঝাড়-ঝোপ?  আহা! সে কি অপেক্ষা অধীর আগ্রহের প্রতিক্ষা হবে বুঝি কাল তোমার প্রেমের ঐ পরীক্ষা? সাজ সাজ রব- অথই কলরব বোকা রমণীর সে কি ম্যাকআপ পাশ নাকি ফেল ভাবছো অড়েল সন্ধ্যা শেষে হবে হয়তো ব্রেকআপ? মনে কি চাই?  দিল্লি-কা লাড্ডু- যদি পেয়ে যায়! ভাবছো কি তাই প্রেমদিনে প্রেম ছাড়া বাকি সব ছাই! কর যদি ঘোরাঘুরি প্রেমিকারই দেহবাড়ি আবাসিকে যায় তবে শোন ভাই- যাবে তোমার সকল ভালো আমল বদলায়। আমি? বলতে যে চাই.... শোন না ভাই.... মনের ঐ আঁকুপাঁকু, পাপের ঐ মস্ত সাখোঁ পার যদি হও ভয় লাগে মোর, মাঝের ঐ রশি ছিড়ে যদি পড়ে যাও! কে তোমায় তুলে নিবে, কেই বা বাঁচাবে? ভেবে কিরে পাও?...

বল ভাই, বলতে কি পারো?

★বল ভাই, বলতে কী পারো?★ _____মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ বল ভাই, বলতে কী পারো? কোন ক্ষমতায় তুমি হেঁটে যাও একাকি কার ইশারায় খোলো ঐ বন্ধ আঁখি? চিন্তা যে কর, ঐ চিন্তায় বা মুলে কী? বল ভাই, বলতে কী পারো? কিভাবে বলো কথা দু-ঠোট করে উঁচু-নিচু? কোথাকার সে আওয়াজ, রহস্য কী তার পিচু? দু-ফালি দাঁত, সাথে জিহ্বার গঠনে আছে কী? বল ভাই, জানতে যে চাই- আঘাত পেয়েছো বলে পায়ের গোড়ায় আপনা-আপনি হাত দিলে তাতে,                              কোন সে ক্ষমতায়? বলনিতো হাতকে- আরে যাও, চুলকিয়ে দাও- পিলপিল পিঠে তবু সে আপনায়, হঠাৎ চলে যায়-                                         ঠিক সেই ঘাটে! বল ভাই, শোনতে কী পায় হস্তে? পেটের ক্ষুধার সে নির্মম কান্না তবু সে খেতে যায়- করে ঐ রান্না কোন ক্ষমতায়, বলনা ভাই, চলে এসব খেলা পাই না খোঁজে, দু-চোখ বুজে, এ রহস্যের লীলা। বল ভাই, সুধিরে তোমায়- এক কলে এত চিজ দাও যে ডুকায় চাল-ডাল, ফলমুল, মাছ-মাংস, যা কিছু...

বৃষ্টি মামা

★বৃষ্টি মামা★ মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~ বৃষ্টি মামা মিষ্টি হেসে     বলল এসে হায়! বহুদিন তো হয়নি আসা     একটু দেখে যায়। আপন ভেবে খানিক সেভে        দিলাম তারে ঠায় রাস্তার ঐ ধুলি বালি        আর থাকে না গাঁয়। রুক্ষ মরু সুক্ষ্ম তরু       স্বস্তি পেল তায় ময়লা জামা ফেলে নিল       নতুন জামা গা’য়। শান্তি পেলো কৃষক চাচা      বিলের বাচা মিয়া ফলনে তার লাভই হলো        বৃষ্টি আসিয়া। আমের মুকুল, লিচুর ঐ ফুল      বললো খানিক হেসে বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দিলে                  বৃষ্টি কাকু এসে। ব্যাঙের নাচন, পাখির ডাকন       গাছগাছালির বাঁক ‘’আয় না বৃষ্টি আয় না ঝড়ে’’      পাখপাখালির হাঁক। ত্রাসিং শীতের ক্রসিং শেষে      শুকনো বঙ্গ ডাকে  বসন্তে হায় বৃষ্টি কোথায়       আয়না একটু ঝেঁকে। সেই ডাকেতে যেই না এলো     যাওয়ার নাম আর নাই দু-দিন গিয়ে তিন পেরোলেই ...

বসন্ত লেগেছে

★আজি বসন্ত লেগেছে গায়★ ______মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ আজি বসন্ত লেগেছে গায় রোপীয়ান-ফ্রিকান-কোরিয়ান,                          দেখে যা ভাই আজি বঙ্গবউ সেজেছে, দেখে যা- ‘হাল’ ফুলে ফুলে হৃদ-তলে তুলিয়াছে পাল। আজি সূর্য-কিরণ মাঝে নতুন এক রূপ মিশিতে রূপাঙ্গনে বাড়িতেছে লোভ। আজি হাওয়া থরথর-লাগিছে আদর    অতল-গভীর এই হরিত সাগর।                আয় ভাই, দেখে যা-                 বঙ্গপাখির গান- শোনে যা                  দু-চোখ ভরে রূপ- লুটে যা                   অতুল পানির স্বাদ- পিয়ে যা। আজি- বৃক্ষরাণী ধরেছে নবসাজ খুলিলো চক্ষুজোড়া, ফেলে দিলো লাজ নিয়াছে অঙ্গভরি, গহনা ভরি ভরি আয় ভাই আয়- দেখে যা তাড়াতাড়ি।       (অতঃপর ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছে গেলো!                 পরবর্তি অংশ- নতুন কোন যাত্রায়)

সিদ্দিকে আকবর

★তিনি সিদ্দিকে আকবর★ --->মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~  ছিলেন নবীর পাশে যিনি নবী প্রেমের পরশ মনি আজো আছেন নবীর পাশে মদিনা শহর- তিনি ‘‘ছিদ্দিকে আকবর’’। বহুদিনের পুবের কথা শুনে হিজরতের কথা হিজরতের লাগি যিনি ঘুমাননি প্রহর- তিনি ‘‘ছিদ্দিকে আকবর’'। সাপের বিষে অঙ্গ জ্বলে তবু জ্বলে প্রেমানলে প্রেমের বিষে হার মানলো সর্প বিষধর- তিনি ‘‘ছিদ্দিকে আকবর’’। তাবুক জয়ে হাঁকেন নবী ওগো আমার সব সাহাবী কার কী আছে আনো দেখি অস্ত্র সমর- যেতে ‘’যুদ্ধেরো প্রান্থর’’। ঘরে রেখে আল্লাহ-নবী এনে দিলেন বাঁকি সবি দেখে অবাক হয়ে গেলেন হযরতে ওমর- তিনি ‘’ছিদ্দিকে আকবর’’। নবী প্রেমের সুধা পিয়ে নবীর প্রেমে জীবন দিয়ে মে’রাজে বিশ্বাসিলো শুনিতেই খবর- তিনি ‘‘সিদ্দিকে আকবর’’। জান দিলেন, মান দিলেন নবীর এশকে কন্যা দিলেন স্বজাত- রুধে যুদ্ধ করলেন সারা জীবন ভর- তিনি ‘‘সিদ্দিকে আকবর’’। জান্নাতেরই শুভ সংবাদ বৃদ্ধগণের হবেন উস্তাদ রাসূল থাকতেই ইমাম হলেন শান বেহতর- তিনি ‘‘সিদ্দিকে আকবর’’। খেলাফতের হয়নি খেলাপ নমণ গুণের ছিলো সভাব ভাতা বিহীন রাষ্ট্র চালায় এ কোন প্রেন্সেলর- তিনি ‘‘সিদ্দিকে আকবর’’। অধম কী আর বলিব শান নবী করেন যার গু...

মাইজভাণ্ডারির দুয়ারে

★দুয়ারে তোমার দয়াল★        _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~ দুয়ারে তোমার দয়াল রইলাম দাড়িয়ে         তুমি লওনা আপন করে             দুহাত বাড়িয়ে শূন্য হাতে আর কত রে  দিবে ফিরায়ে         আজি যাব না, যাব না              তোমার দয়া না লয়ে। কেহ চাহে গাড়ি-বাড়ি কেহ চাহে দুনিয়াদারি        আমি চাহি তোমায় স্বয়ং                পাবো কী দিয়ে             যাব না দয়া না লয়ে। যে যাহা চায়, সে তাহা পায় কেহ মওলা খালি না যায়         বাতেনি নয়নে দুঃখ               দাওরে ঘুচায়ে             যাব না দয়া না লয়ে। প্রেম জানিনা, ভাব জানিনা তবু তোমার প্রেম দিওয়ানা          পাগলা মনের পাগলামিটা                 দাওনা মিটায়ে         ...
ভাবহীন ভাবনার কবিতা-           তোমরা মোরে প্রেম দিয়ো _______মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ আমি চাই না- কেউ আমায় কবি বলুক চাই বটে- কেউ আমায় প্রেমিক বলুক। আমি প্রেম করতে চাই- পৃথিবীর সবার সাথে প্রেমিক হয়ে বাঁচতে চাই- অপ্রেমী এ বিশ্বটাতে। একটু প্রেম দিও মোরে- আমি পৃথিবী দেবো সব কিছুর বিনীময়ে- একটু খানি প্রেম চাবো। ওগো প্রেম! তুমি বড্ড অপয়া- ছোঁও না মোরে খালি পথে ঘুরে বেড়াও- অপ্রেমীর ছায়ানীড়ে। আমি ব্যাটা পুড়ে মরি-                             তুমি করো বাড়াবাড়ি উল্টো পথে দৌড়াদৌড়ি-                            কে শোনে কার রোনাজারি। তোমরা মোরে প্রেম দিয়ো-                           একটু খানি খোঁজ নিয়ো আমি তবে আমায় দেবো-                                 জেনে রেখো ও প্রিয়ো।...

হাসির বাক্স

পড়ুন মন খুলে, হাসুন দাঁত খুলে ★হাসির বাক্সো★ ___মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~                   (১) হাসতে নাকি জানে না কেউ         কে বলেছে ভাই    ঐ দেখো না হাঁসু আপা          খবর দিয়ে যায়। তেতুল হাসে, পুতুল হাসে,            লালা হাসে  সাথে সাথে হালদা বিলে খালদা হাসে         হাসে জনতায় থোতলা বুড়ির হাসি দেখে            পিলে চমকে যায়। হাত উপরে, মাথার পরে         মাগার চক্ষু- ‘আপার নিড়ে’ গভীর ধ্যানের রঙমিছিলে          হঠাৎ কাপ্পই-চায় তাইনা দেখে আমজনতার         সে কি হাসি পায়!!! নারী খারাপ-তেতুল বিচি        গাদা গাদা কেতাব রচি আস্তিক কি নাস্তিক দ্বন্দ্বে         সনদ নিতে যায় সেই নারীতে সঙ্গোপনে              সে কি হাসি পায়! লুকোচুরি ছলচাতুরি       ...

কে সে, সে কে?

★সে কে, কে সে?★ ____মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সে কে?  কে সে? আমারো অন্তপুরে- যার বসবাস নিরালা নিভৃত্তে যে- তুলে জলোচ্ছ্বাস কখনো সুপ্ত মনে গুপ্ত কথা রচে কখনো হিমতাপে- দুনিয়াতে চষে। কভু গায় গান, করে নানা ভান কভু সে উৎকন্ঠা, কুলে আনে বান করে কভু রোনাজারি, সাথে বাড়াবাড়ি ক্ষনিকের আহাজারি, ধুলায় গড়াগড়ি। ডাহুক সুরে কভু, শিষে হয় বাবু বলে নানা কথা, হয় না শেষ তবু বাজে কত বাঁশি, সে কি সুরের রাশি চায় কি যে মন, দিবা আর নিশি। চলি কিরে বলি, তাঁরই আধুলি কবিতা কি বুলি, নানা সুর তুলি কে তুলে, আমি? নাকি জগৎ স্বামী? ভেতরে মোর কে সে? কহ না খুলি!

নেশা লাগিলো রে

★নেশা লাগিলো রে........★ ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ কওমী সনদ সীকৃতি উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতি অনুষ্টানে গাওয়া, গায়িকার গানটি কি ধরনের হতে পারে, সে ব্যপারে ভেবেছেন-                  ___মুহাম্মদ সৈয়দুল হক নেশা লাগিলো রে..... বাঁকা দু-নয়নে নেশা লাগিলোরে হাসনা বানু তেতুল প্রেমে মজিলো রে! লাভ-ক্ষতি কার কত হলো      কার থেকে কি এলো গেলো এসব নিয়ে চিন্তা করার                      সময় আমার নাইরে........ বাঁকা দু-নয়নে নেশা লাগিলো রে তেতুল অতি মিষ্টি ফল         নাম শুনিলে আসে জল সে জলেতে ভাইসা যামু                       আটকাবি কে আইরে....... বাঁকা দু-নয়নে নেশা লাগিলো রে সনদ দিয়ে ভোট যদি পাই           দিলে তাতে কি আসে যায়? তেতুল আমার, আমি তাহার                        চিন্তা যে আর নাইরে...... বাঁকা দু-নয়নে নেশা লাগিলো রে ‘দল’ আমার দারু...

নারীর দোষ

নারী দোষি, পুরুষ কী ধোয়া তুলশী পাতা? _____মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ‘‘বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ           বেদনা অশ্রুবারি    অর্ধেক তার আনিয়াছে নর,            অর্ধেক তার নারী।’’                         (কাজী নজরুল ইসলাম) প্রিয় কবির এ কয়টি চরনেই মুল বক্তব্য লুকায়িত। বিরাট এক ব্যরাম দেখা দিয়েছে সমাজে। কথায় কথায়- ‘‘নারী দোষি’’। ওরা পর্দা করে না, তাই টিজ করা হয়! ওরা দোষি, ঘরে স্বামী রেখে অর্ধনগ্ন হয়ে বাজারে যায়। ঝোপের আড়ালে, একাকি দালানে প্রেমিকের সাথে ইটিশ-পিটিশ করে। ওরা দ্বীন ধর্ম পালন করে না, স্বামীর সাথে বেয়াদবি করে, মা বাবাকে মানে না! ওরা অশ্লিল, বেহায়া, বেপর্দা, বেলাজ, বেদ্বীন, বেশর্মা, বেয়াক্কল!!  একটু থামেন, অনেক তো কোপাইছেন, এবার একটু জিরান। আমার আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে তৈরি ‘‘জিরা পানি’’ খান। ওহে নারীর বাবা, ওহে নারীর ভাই, ওহে নারীর স্বামী! বলুন তো? আপনার মেয়ে, আপনার বোন, আপনার স্ত্রী যে পর্দা করে না, আপনি কি তাকে পর্দা শিখিয়েছেন? খুব...

এলো রমজান

পবিত্র মাহে রমজানের অগ্রিম উপহার- এলো- মাহে রমজান __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ মাহে রমজান, এলো- মাহে রমজান রহমতেরি বার্তা নিয়ে মাগফেরাতের শুভ সংবাদ নিয়ে এলো এলো ঐ নাজাতের ফরমান। কত ইবাদত তোমার কত রিয়াজত রমজানে বান্দার ত্বরে খোদার রহমত দিবেন আল্লাহ নিজের হাতে রোযার প্রতিদান। মাহে রমজান, এলো মাহে রমজান। দীন-দুঃখি আর অনাহারির দুঃখ বুঝিতে ধনী-গরীব, উঁচু-নিচুর ফারাক কমাতে দিলেন আল্লাহ্ ধরার বুকে অতুল সমাধান মাহে রমজান, এলো-মাহে রমজান। খুলে দেখো বিজ্ঞানীদের ‘বিজ্ঞনামা’ তে রোগের শেফা আছে বলে- ঐ রোযাতে আল্লাহ নবীর আদেশেতে আছেরে কল্যাণ মাহে রমজান, এলো- মাহে রমজান। খোদার ফজল পেতে যারা অতি আবেগী সাহরি, নামায, রোযার সাথে করো বন্দেগী ইফতারি আর খোদার দিদার পাবে প্রতিদান। মাহে রমজান, এলো-মাহে রমজান। কিসের এতো বাড়াবাড়ি কিসেরো দ্বন্দ্ব খোদার নিকট রোযাদারের মুখেরো গন্ধ- ‘মেশক আম্বরে’র চেয়ে অতি মুল্যবান। মাহে রমজান, এলো- মাহে রমজান। অগনিত ফেরেস্তারা আসে দিন-রাত দেখতে কারা খোদার ত্বরে করে ইবাদাত ঐ ক্বদরে হলো নাযিল পবিত্র কুরআন মাহে রমজান, এলো- মাহে রমজান। ওহে মাওলা করো মোদের তাওফিক এনায়...

প্যারাসিটামল দুইবেলা

পবিত্র শবে বরাতের আগমণে  যাঁদের জ্বর ১০৫ ডিগ্রিতে উত্তির্ণ, তাঁদের জন্যে বিশেষ প্রেসক্রিপশন-     ★‘প্যারাসিটামল’ দুই বেলা★            __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক তীব্র কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে? মাথা ঝনঝন করছে? জ্বরের বেগে আবকা বকছেন? কী করবেন, কী খাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? চতুর্দিকে মাইকের বিকট আওয়াজে গদির সাথে পিরিতি জমে উঠছে না? সবখানেতে শিরিক আর বেদাতের ভাইরাস দেখতে পাচ্ছেন? তবে এই দাবাই আপনার জন্য। এই নিন- কী করবেন?  আমার পোস্ট নামের প্রেসক্রিপশনটা পূর্ণাঙ্গ ফলো করুন। কী খাবেন? সহজ! প্রেসক্রিপশনে দেয়া ‘প্যরাসিটামল’ দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে গলাদগরন করুন।  ওহে গান্ধি পোকা! শবে বরাতে কী শিরিকের গন্ধ পাও? তবে তুমিই মুশরিক! কেননা শবে বরাত কুরআন-সুন্নাহ্ সমর্থিত। আর খোদায়ী কোন নিদর্শন অস্বীকার করে মুশরিকেরা।  বেদাতের বাদ্য দেখতে পাও? তবে তুমিই বেদাতি! কেন? কারণ হাজার হাজার বছরের সীকৃত ইবাদতকে অস্বীকার করাটাই বড় বিদয়াতে সায়্যিয়াহ্!  আরামের হালওয়া-রুটিতে হারাম কিছু পাও? তবে তুমিই হারামখুর! কেন জানো? কারণ শরীয়ত কতৃক হালাল খাদ্যকে হা...

ওগো মা-২

★ওগো মা★ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক                                (সমাপনী পর্ব) ওগো মা- তুলতুলে ঐ নরম বিছানাটা কি আজো আছে বিছানো? যেটা অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে রোজ পেতাম যে সাজানো। ঐ হাত দুটোর কোমল স্পর্শ্ব অনুভবি দু-চোখ মেলে ক্ষুদার জ্বালা না মিটায় যবে দিতে মোর মুখে তুলে। ওগো মা! তুমি দিয়াছো গো তোমায় মোরে আমি দিইনি তিলক মালা তোমারই রক্ত-মাংস-নাড়ি ছিড়ে আমি দিয়াছি হাজার জ্বালা। তুমি অন্ধ ছিলে, বিন্দুকে সিন্ধু করে বিলায়ে দিলে আমি স্বচেতন অতি! দিই নাকো সিন্ধু থেকে বিন্দু লতি। আমি আমারে সেবি; তুমি সেবিলে মোরে কতো কাল হায়! বোকা মা আমার! মিষ্টসুরে ডাকে;দিলেও গালাগাল। খেয়ালি আমি,  দেখিনা তব তীব্র জ্বরের গাত্রদাহ অখেয়ালি তুমি;  পরম খেয়ালে বিলাও শান্ত প্রবাহ। মনে পড়ে সেই রাতের কথা! জ্বরের বেগে যবে কাঁপিছিনু থরথর তুমি আসলে; পাশে বসলে; কাটালে নির্ঘুম সে রাত গভীরতর। ঐ এক রাতের ক্ষনিকের ঋণ শুধিবো কি দিয়ে? ঋণের বোঝা চাপিয়ে মাথায় যাওনি কেনো নিয়ে। বলো মা! দিবো কী তোমায়? গয়না-শাড়ি, কাঁকন-বালা? একটুকু সুখ, নাকি শঙ্খমালা? কিবা দ...

বিবেক তুমি জাগ্রত হও

ঘুমন্ত বিবেক জাগিয়ে তুলতে অপচেষ্টায় কিছুক্ষণ- ★বিবেক তুমি জাগ্রত হও★      _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ বিবেক তুমি জাগ্রত হও, সুষুপ্ত আর নয় একটি কেবল বাকি আছে; চলে গেলো ছয়। সাতের খেলায় ছয়ের বিনাস বুঝবে কবে আর? শনি-বিষুদ গেলো হেলায় কালকে জুমাবার। অমন করে স্বপ্ননীড়ে থাকবে কত কাল? দূর দরিয়ায় স্বপ্ন-সিপে তুলবে কবে পাল? ইচ্ছে তোমার ভুবন জয়ে কাজে তুমি লেটো শ্রমের বেলায় বেশ পিছিয়ে ডিগবাজিতে পটু। বিদ্যা-বুদ্ধি আছে বৈকি চলন গতি কত? আছে তোমার অগোচরে আরো শত শত। স্বপ্ন-খনি, মুক্তো-মণি জয় করাতে ভাই মেধার সাথে কর্মপালন সমান তালে চাই। আজকে তোমার সময় নদী যাচ্ছে বয়ে বৃথা কালকে তোমার পিয়াসিলে জলটি পাবে কোথা? আজ-কাল, কাল-পরশু গুনতে সময় শেষ সাথীরা সব যায় এগিয়ে তোমার চেয়ে বেশ। স্বপ্ন তোমার হয়নি পূরণ লাভ কী মাথা ঠুকে? সুখের বদল দুঃখের অশ্রু তোমার চোখে-মুখে। তাইতো বলি, ‘যাও বাচাধন কাজে নেমে পড়, তোমান জীবন; তোমার স্বপ্ন; তোমার মত গড়।’

কালাইয়্যা

দুনিয়ার সকল হিংসুক ধলাইয়্যাদের উৎসর্গ-       ★কালাইয়্যা★ __মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ কালো বলে টিটকারি দেয়-         ‘ওরে কালাইয়্যা’ শুনতে আমার মজায় লাগে         হাসি ফাটাইয়্যা।      কৃষ্ণবর্ণের কৃষ্ণচর্মে-      দ্বেষ লাগে মোর বেশ যেথায় দেখি ভেঙছি কাটি        মনে লাগে ফ্রেশ। বেবাক লোকের সেবাক হাসি       দাঁতের ফোঁকর দিয়ে ‘কালাইয়্যা’তে রসের হাঁড়ি          পড়ে বেয়ে বেয়ে।    মানুষ হবে- রঙিন রঙের                রক্তবর্ণ গা মানুষ হবে সালমান-শাহরুখ         মানুষ- ‘সাদাইয়্যা।’   ‘কালাইয়্যা’রা কুশ্রি অতি         দেখতে লাগে ঘিন    ব্রহ্ম থেকে ‘কালাইয়্যা’রা         হোকনারে বিলীন।    বলি তবে, ও ধলাইয়্যা!         একটু সময় হবে?   হলে সময় তোমার শানে         বলি দুয়েক তবে...

জামেয়ার রূপ

★মাদানি কাফেলা★   _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ````````````````````````````````` দেখতে অতি মন মাতানো      চোখ জুড়ানো রূপ  অতুল থেকে অতুল সে যে         জামেয়ারি রূপ               অ সে- দেখতে অপরূপ। মাদানি রঙে রঙ মাখিলো          দেখনারে সবুজ    অঙ্গভরি গয়না যে তার          দ্বিতীয়টা খোঁজ               সে যে- জামেয়ার গম্ভুজ। বয়ে যাওয়া শেষ বিকেলের         মৃদু মিষ্টি হাওয়া  দেহ-মনে প্রশান্তু জাগায়       মিষ্টি পাখির গাওয়া              ও তা- নুরানী এক মায়া।     হয় যদি তা রুক্ষপুরের          সুক্ষ জ্ঞান মালা   ডুব মারি কুড়াইয়া আনে         আজব শিল্পকলা             দেখো- কেমন পাঠশালা।    কিসতিয়ে নূহ্, রুহে সুন্নি        বাগে হুজুর কিবলা মুফ...

পুরোন রূপে

পুরোনো দিনের সকল বন্ধুদের উৎসর্গ- ★পুরোন রূপে মিশে যেতে চাই★          →মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^       তোরা আমায় ভাবিস কিরে          ভাবনা রাজ্যে আছি কী?          দিনের অন্তে, ক্লান্তি লগ্নে            মনে আমায় পড়ে কী? ক্লাস কিংবা পড়ার টেবিল নয়তো আড্ডাসরে কেবা আমায়, বাসি মায়ায় একটু খানি স্বরে।             ঝগড়া কালে বিগড়ে গেলে                         আগুন রাঙা তেজে                কেবা মারো কাথায় ঘুসি                         হঠাৎ আমি সেজে। রোজ বিকেলে, নয় সকালে ঐ যে খেলার মাঠে হয় কি ইচ্ছে দুয়েক জুটি করতে আমার সাথে।             ঝালমুড়ি আর হযবরলে                  প্লেট যবে রয় পুরো   ...

ক্ষমা করো রহমান

★ক্ষমা করো রহমান★  _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক `````````````````````````````` স্মরিণি কো তোমায় প্রভূ শুনিনি কো আহ্বান মজে রই পাপ দরিয়াতে ক্ষমা করো রহমান। বন্দেগী আমি করিনি কিছু ডাকিনি কো মহীয়ান গগনে গরজে ক্রোধস্বর তব; ক্ষমা করো রহমান। ‘রহমত’ মহাসমুদ্র তোমার দ্বারেতে দন্ডায়মান হেলায়-ফেলায় করিনি কদর ক্ষমা করো রহমান। দ্বারে মোর কড়া নাড়ে ঐ- তব নব এক মেহমান মাগফেরাতে মাফ তালিকায় ক্ষমা করো রহমান। সপ্ত নরকের শিখা যে কঠিন তোমারই পাক বয়ান জ্বলবার শক্তি নাই যে তাতে ক্ষমা করো রহমান। নাজাতে নাজাত মিলায়ো প্রভূ দিয়ো না মাঝে বান পাপী মানি; বান্দা তোমার তবু, ক্ষমা করো রহমান। পাঠালে তুমি মোদের তরে দামি এক মেহমান করিনি আদর, তার সমাদর ক্ষমা করো রহমান। এসেছে হাজারো বার্তা নিয়ে পবিত্র মাহে রমজান তার বার্তা মুখে মেরেছি তালা ক্ষমা করো রহমান। পাপী আর তাপী, হই না যতই দয়া তব অফুরান হলেও পাপী; বান্দা তোমার, ক্ষমা করো রহমান।

বদ্ধ পাগল

পড়ুন, হয়তো আপনার            সাথেও মিলে যেতে পারে___ লোকে ভাবে-  ‘আমি এক বদ্ধ পাগল’ _মুহাম্মদ সৈয়দুল হক ~~~~~~~~~~~~~~~ নাই হাল, নাই চাল; লোকে ভাবে- আমি  এক বদ্ধ পাগল! যখন মন যা চাই- করি অনর্গল। নাই মোর, কোন সুর; কখনো একা একা কি যেন বলি মন যেদিকে যায়- একা একা চলি। ভাবহীন, স্বমলিন; কখনো রাতে জেগে ঐ চাঁদ দেখা উদাস মনে রোজ- খুঁজি এক সখা। তাকাই, অজানায়; পথের প্রান্থে কভু পলকহীন চোখে ফিরে ফিরে যাই- ঐ সপ্নালোকে। মাঝে মাঝে- মেঘের ভেলায় চড়ে ভেসে যে বেড়াই প্রকৃতির সাথে রোজ মিলে মিশে যাই। বলনা ললনা; তবে কেন নয়- ‘পাগলা হৃদয়’? কারণ ছাড়া বৈ পাগল আমি হই?